নয়াদিল্লি: গত কয়েকদিন ধরে গুরুগ্রামে রাস্তার ওপর নমাজের প্রার্থনায় আপত্তির সমর্থনে মুখ খুললেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টার। প্রকাশ্য স্থানে প্রার্থনার বিরুদ্ধে সরব একাধিক ডানপন্থী গোষ্ঠী। খট্টারও তাদের সুরে বলেছেন, খোলা জায়গায় নমাজের প্রার্থনা দিনদিন বাড়ছে। কিন্তু প্রকাশ্যে রাস্তার পরিবর্তে নমাজ পড়া উচিত মসজিদ বা ঈদগায়।
দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলির দাবি, নমাজ, প্রার্থনার অজুহাতে সরকারি জমি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাই সারা ভারতেই রাস্তায় নমাজ বন্ধ করতে হবে। অভিযোগ, গুরুগ্রামের বেশ কয়েকটি জায়গায় নমাজ পাঠে আপত্তি তোলা হয়েছে। অবাঞ্ছিত ঘটনা এড়াতে গুরুগ্রাম জেলা প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে, যে জমিতে প্রার্থনা হচ্ছে, তা সুরক্ষিত রাখতে হবে।
গুরুগ্রামের ডেপুটি কমিশনার বিনয় প্রতাপ সিংহ বলেছেন, নমাজ পাঠের সব জায়গায় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রয়েছে। যেসব জায়গায় আপত্তি উঠেছে, সেখানেও অশান্তি ছড়াতে দেওয়া হয়নি।

প্রকাশ্যে নমাজ পাঠে বিরোধিতার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াকফ বোর্ডকে প্রশাসন নমাজের প্রার্থনা করা যেতে পারে, এমন নির্দিষ্ট জায়গাগুলি চিহ্নিত করতে বলেছে।
এই প্রেক্ষাপটে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের মত হল, নমাজ পাঠ হওয়া উচিত মসজিদ, ঈদগার মতো নির্দিষ্ট ধর্মীয় স্থানে। যদি জায়গার অভাব হয়, তবে নিজের বাড়িতে নমাজ পড়ুন।
একইসঙ্গে কোথাও কোথাও নমাজের প্রার্থনায় বাধা দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি স্পষ্ট বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা আমাদের কর্তব্য, আমরা তা পালন করব। সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি যাতে বজায় থাকে, কোথাও উত্তেজনা মাথাচাড়া না দেয়, তা সুনিশ্চিত করছি। সরকারি অফিসারদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।