মুম্বই: নান্দেদ পুরভোটে বিজেপির পরাজয়ের পরই বড় শরিককে কটাক্ষ করল শিবসেনা। বলল, বিজেপিকেও হারানো যায়।


গতকালই প্রকাশিত হয়েছে মহারাষ্ট্রের নান্দেদ-ওয়াঘালা পুরনির্বাচনের ফলাফল। ৮১টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলেই চলে এসেছে ৭৩টি আসন। নান্দেদ মূলত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অশোক চহ্বনের গড় হিসেবেই পরিচিত।


উল্টোদিকে, মহারাষ্ট্রের শাসক দল বিজেপির এই পুরনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে। তারা পেয়েছে মাত্র ৬টি আসন। কেন্দ্রে ও রাজ্যে বিজেপির শরিক শিবসেনার অবস্থাও তথৈবচ। একটিই মাত্র আসন দখল করতে সক্ষম হয়েছে তারা।


যদিও, নিজেদের ফলাফলের দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ তারা। উল্টে, বিজেপিকে আক্রমণ করতেই এদিন বেশি শক্তি ব্যয় করে শিবসেনা। এদিন দলীয় মুখপত্র সামানা-তে বড় শরিককে তুলোধনা করেছে তারা।


নিজেদের পরাজয়ের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করে এদিনের সম্পাদকীয়তে শিবসেনা দাবি করে, এই নির্বাচনে তাদের দুই বিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। এক, কংগ্রেস ও দুই বিজেপি। তাদের অভিযোগ, বিজেপি যে কোনও পন্থা অবলম্বন করে জিততে চায়।


শিবসেনার দাবি, বিজেপি এই ভোটকে নিজেদের সম্মানের লড়াই করে ফেলেছিল। প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়ণবীশ সহ একাধিক মন্ত্রিসভার সদস্য। যদিও তাতেও কোনও লাভ হয়নি। ছোট শরিকের কটাক্ষ, দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সামনে বিজেপির যা অবস্থা হয়েছিল, এখানেও তাই হয়েছে।


শিবসেনা জানায়, এই ফলাফল আমাদের বন্ধুর জন্য একটা ধাক্কা। কারণ, তারা কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখেছিল। শিবসেনার মতে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটা বার্তা পাওয়া গেল—বিজেপিকেও হারানো যায়। বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে শিবসেনা জানায়, এই নির্বাচন থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার। তা হচ্ছে—অর্থ, ক্ষমতা ও লুঠের পন্থা সবসময় কাজে আসে না।