কলকাতা ও নয়াদিল্লি: দিল্লি থেকে কলকাতা-- নারদকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই তৎপরতা তুঙ্গে। একদিকে দিল্লিতে ম্যাথ্যুর বাড়িতে গেলেন তদন্তকারীরা, অন্যদিকে কলকাতায় মামলাকারীদের বয়ান রেকর্ড করলেন গোয়েন্দারা।
রবিবার সকালে, দিল্লির দ্বারকায় নারদ নিউজের সিইও-র বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, যে কম্পিউটারে নারদের স্টিং অপারেশনের ফুটেজ রাখা এবং এডিট করা হয়েছিল, সেই কম্পিউটারের সিপিইউ হেফাজতে নেয় সিবিআই।
ম্যাথ্যু স্যামুয়েল জানিয়েছেন, অন্য একটি মামলায় কলকাতা পুলিশও এই কম্পিউটার খুঁজছিল। তারা সেটি পায়নি। রবিবার সিবিআইয়ের হাতে ওই এডিটিং মেশিন তুলে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে কলকাতাতেও তৎপর সিবিআই। নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ ও বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে, ৩ মামলাকারী-- কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, বিজেপি নেতা ব্রজেশ ঝা এবং আইনজীবী অক্ষয় সারেঙ্গির।
সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা জানতে চান, নারদের স্টিং অপারেশনের খবর কোথা থেকে পেলেন মামলাকারীরা? কী উদ্দেশ্যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল?
এপ্রসঙ্গে অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, তাঁকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আনএডিটেড ফুটেজ দেখানো হয়েছে, কেন মামলা করলাম, জানতে চাওয়া হয়েছে। আরেক মামলাকারী ব্রজেশ ঝা-ও বলেন, কেন মামলা করেছিলাম, সিবিআই জানতে চেয়েছে। বয়ান রেকর্ড হয়েছে বলেও জানান তিনি।
একদিকে যখন সিবিআই তৎপরতা তুঙ্গে, অন্যদিকে তখন হাইকোর্টের নারদ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে পারে রাজ্য সরকার। এবং দ্রুত শুনানির আর্জি জানাবে তারা। রাজ্যের হয়ে মামলা লড়তে পারেন প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল বিশিষ্ট আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম।
অভিযুক্তপক্ষের হয়ে দাঁড়াতে পারেন কংগ্রেস নেতা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিব্বল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদ, আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে একপ্রস্থ বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়েরের পর শুনানিতে ২ অভিযুক্ত সাংসদও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে সূত্রের খবর।