কলকাতা: নারদের স্টিং অপারেশন মামলায় তৃণমূলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রীদের তলব করছে সিবিআই-ইডি। তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই দাবি করেছেন, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কারণেই তাঁর দলের নেতাদের বিরুদ্ধে এ ভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে লাগানো হয়েছে। যা মানতে নারাজ বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে, শুক্রবার  দলের কোর কমিটির বৈঠক থেকে সুর চড়ালেন তৃণমূলনেত্রী। তাঁর দাবি, আমাদের চমকে কোনও লাভ নেই। ওরা শোভনকে ডেকেছে। সুব্রতদাকেও ডেকেছে। সুদীপদাকে জেলে পাঠিয়েছে। আরও কয়েকজনকে ডাকতে পারে। কিন্তু, নারদ মামলায় ওরা কিছু করতে পারবে না। ওদের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। ২০১৯ সালে বিজেপির বিদায় হবে।

মমতা যেদিন এই দাবি করছেন, সে দিনই, ফের সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। টানা দ্বিতীয়দিন মেয়রকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের।

মেয়র তথা দমকলমন্ত্রীকে এ দিন প্রায় ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পর তাঁর সামনেই, তাঁর দুই নিরাপত্তাকর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সূত্রের খবর, ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে তাদের প্রশ্ন করা হয়। বয়ানও রেকর্ড করা হয়।

মেয়র যখন সিবিআই অফিসে তখন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ফের নোটিস দিল ইডি।

৪ অক্টোবর সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

এর আগে যখন মেয়রের স্ত্রীকে তলব করা হয়েছিল, তখন তিনি সময় চেয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, লন্ডনে রয়েছেন। চিকিৎ‍সা চলছে। ইডি সূত্রে খবর, এবার চিকিৎ‍সা সংক্রান্ত নথি নিয়ে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে।