নয়াদিল্লি ও কলকাতা: নারদকাণ্ডে বিড়ম্বনা বাড়ল তৃণমূলের।
৫ তৃণমূল সাংসদ যথাক্রমে দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌগত রায়, উলুবেড়িয়ার তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ, বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী এবং হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস পাঠাল লোকসভার এথিক্স কমিটি। প্রয়োজন তলব করা হতে তৃণমূল সাংসদদের। স্টিং-ফুটেজ ভুয়ো বলে দাবি করলে, ফরেন্সিক পরীক্ষার সম্ভাবনা। এমনটাই সূত্রের খবর।
ঠিক এক মাস আগে, ১৪ মার্চ প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছিল নারদ নিউজের বিস্ফোরক স্টিং ফুটেজ। যেখানে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের লোকসভার পাঁচ সাংসদকে। নারদ নিউজের স্টিং ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর ১৬ মার্চ লোকসভার এথিক্স কমিটির ওপর তদন্তভার দিয়েছিলেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। গত ১৬ মার্চ তিনি বলেছিলেন, অভিযোগের গুরুত্ব মাথায় রেখে এবং স্পিকার পদের সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়টি তদন্তের জন্য এথিক্স কমিটির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ইতিমধ্যে লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বে লোকসভার এথিক্স কমিটির কাছে নারদ নিউজের সিইও ম্যাথ্যু স্যামুয়েল, ৫২ ঘণ্টার অসম্পাদিত ফুটেজ এবং একটি চিঠি তুলে দিয়েছেন। তার প্রেক্ষিতেই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তৃণমূল সাংসদদের নোটিস পাঠাল লোকসভার এথিক্স কমিটি। সূত্রের খবর, নোটিসে সংশ্লিষ্ট তৃণমূল সাংসদদের কাছে, তাঁদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
কিন্তু, নোটিস পাঠানোর পর কী পদক্ষেপ নেবে লোকসভার এথিক্স কমিটি? সূত্রের খবর, তৃণমূল সাংসদদের বক্তব্য জানার পর বৈঠকে বসবে এথিক্স কমিটি। সংশ্লিষ্ট তৃণমূল সাংসদদের তলব করা হতে পারে। প্রয়োজনে সাক্ষীদেরও ডাকতে পারে কমিটি। যদি তৃণমূল সাংসদরা স্টিং-ফুটেজকে ভুয়ো বলে দাবি করেন, তাহলে ফুটেজ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠাতে পারে এথিক্স কমিটি।
এথিকস কমিটি নোটিস পাঠানোর পরই স্টিং নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। কিন্তু, এত বিলম্বে নোটিস কেন? এখনও কেন একবারও বৈঠকে বসেনি লোকসভার এথিক্স কমিটি? এরই নানা প্রশ্নের নেপথ্যে মোদী-মমতা আঁতাঁতের গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা। সিপিএমকে পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। এথিক্স কমিটির তদন্ত নিয়ে তৃণমূলের এখন সুর নরম। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, নোটিস প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ বলেছেন, আমি নোটিসের বিষয়ে শুনেছি, ভোট প্রচারের জন্য ট্যুরে রয়েছি। এখনও পর্যন্ত নোটিস হাতে পাইনি। নোটিস হাতে পেলে খতিয়ে দেখব।
শেষপর্যন্ত এথিকস কমিটি আদৌ কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয় কি না, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।