নয়াদিল্লি: বিদ্যুৎ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি সহ ৬টি চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত ও ইতালি।

ভারত সফরে এসেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী পাওলো জেন্টিলোনি। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন জেন্টিলোনি। সেখানে সন্ত্রাস ও সাইবার অপরাধ প্রসঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি একাধিক আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়েও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে।

বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মোদী জানান, ইতালীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সন্ত্রাস ও সাইবার অপরাধের চ্যালেঞ্জ ও তার মোকাবিলা কীভাবে করা সম্ভব, সেই প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি যোগ করেন, উভয় দেশই ঐকমত্যে পৌঁছেছে যে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ ভীষণই উজ্জ্বল।

মোদী-জেন্টিলোনির বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ৬টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে—রেল সুরক্ষা, বিদ্যুৎ, পারস্পরিক বিনিয়োগ প্রসার।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ইতালি হল ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্য-বিনিয়োগকারী দেশ। ২০১৬-১৭ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৮.৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এরমধ্যে ভারতের রফতানির মূল্য ৪.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমদানির মূল্য ৩.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মোদীর আগে, এদিন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও বৈঠক করেন জেন্টিলোনি। গত এক দশকে এই প্রথম ইতালির কোনও প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে এলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে দুই ভারতীয় মৎস্যজীবীকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগে কেরল উপকূলে লাতোর মাসিমিলিয়ানো এবং সালভাতোর গিরোনে নামে দুই ইতালীয় নাবিককে গ্রেফতার করা হলে দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে।

দীর্ঘ টালবাহানার পর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে ফেরেন লাতোর। ২০১৬ সালের মে মাসে দেশে ফেরেন গিরোন। হত্যার মামলা চলছে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে।