নয়াদিল্লি: শুধুমাত্র কংগ্রেসের সমালোচনা করার জন্যই জরুরি অবস্থার ৪৩-তম বার্ষিকীকে কালা দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে না, তার বিপদ, ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করাও এর উদ্দেশ্য। আজকের যুবকদের কোনও ধারণা নেই জরুরি অবস্থার সময় কী ঘটেছিল। তাদের সে ব্যাপারে অবহিত করতেই কালা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। বললেন নরেন্দ্র মোদী। জরুরি অবস্থা কংগ্রেসের পাপের ফল বলেও অভিমত জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, জরুরি অবস্থা আমাদের ইতিহাসে একটি কালো দাগ। দেশের বিচারবিভাগ এতই সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল যে যিনি বা যাঁরাই সংবিধান রক্ষা করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের বিপদে পড়তে হয়েছিল। যারা আজ সংবিধান রক্ষার কথা বলছে, তারাই সেদিন 'একটি মাত্র পরিবারের' মুখ চেয়ে জরুরি অবস্থার সময় প্রথম সারির বিরোধী নেতাদের কারাগারে পুরে গোটা দেশকে জেলখানায় পরিণত করেছিল। এভাবেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন তিনি। কংগ্রেসকে বিদ্রূপ করেন মোদী। বলেন, লোকসভা ভোটে ৪০০ আসন থেকে ৪৪-এ নেমে আসার পর নির্বাচন কমিশন, ইভিএমকে দুষছে ওরা। কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, গাঁধী পরিবার কখনও ভাবতেই পারত না, ওদের বিরুদ্ধেও আদালতে দুর্নীতির অভিযোগ রুজু হতে পারে, ওদের জামিনের আবেদন করতে হবে। আর তাই এখন ওরা প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব এনে বিচারবিভাগকে ভয় দেখাতে চাইছে। কিশোর কুমারজী ওদের হয়ে গাইতে অস্বীকার করায় রেডিওয়ে ওনার গান বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন মোদী।