জাকিরের বক্তব্য, হিন্দু ধর্ম বিশ্বে একটি অন্যতম বৃহৎ ধর্ম, ভারতে বহু মুসলিম রয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী যদি মুসলিম দেশগুলির দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ান, তাহলে সবদিকে সুবিধে হবে। দেশে বিনিয়োগ তো আসবেই, এই সব দেশের সাহায্যে ভারত সুপারপাওয়ারও হয়ে উঠতে পারে।
কবে দেশে ফিরছেন জাকির? এই প্রশ্নের অবশ্য তিনি স্পষ্ট জবাব দেননি। শুধু বলেছেন, দেশে ফিরবেন সরকার চাইলেই। বাংলাদেশ নিষিদ্ধ করলেও তিনি চান, ভারতে বড় করে শুরু হোক পিস টিভি। ২০০৫, ‘১০ ও ‘১২-য় সম্প্রচারের অধিকার চেয়ে আবেদন করেন তাঁরা। কিন্তু আগের সরকার বারবার নিরাপত্তাগত কারণ দেখিয়ে তা ফিরিয়ে দেয়। তাঁর আশা, নয়া সরকার পিস টিভি সম্প্রচারে অনুমতি দেবে।
ইসলামিক স্টেটের নিন্দায় অবশ্য কসুর করেননি বিতর্কিত এই মুসলিম ধর্ম প্রচারক। তাঁর দাবি, জিহাদ মানে সমাজের উন্নতির লক্ষ্যে লড়াই করা, পাশাপাশি, আত্মরক্ষাও।কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিহাদকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে অ-মুসলিমদের ভয় পাইয়ে দিয়েছে। জাকিরের দাবি, আইএসের কার্যকলাপ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আইএস-কে অ্যান্টি-ইসলাম স্টেট বলে মনে করেন বলেও জাকির দাবি করেছেন।
ঢাকার কাফে হামলায় উঠে আসে জাকিরের নাম। জানা যায়, ওই হামলায় জড়িত জঙ্গিরা জাকিরের বক্তৃতায় অনুপ্রাণিত হয়েছিল। জাকিরের অবশ্য দাবি, এই সব অভিযোগ মিথ্যে। ভারতীয় মিডিয়া ইচ্ছে করে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে তাঁর অভিযোগ।