নয়াদিল্লি: আজ ২৩ জুন। জাতীয় সিভিল সার্ভিস দিবস। মেধাবী তরুণ জনগোষ্ঠীকে পেশা হিসেবে সিভিল সার্ভিসকে বেছে নিতে উৎসাহিত করার উদ্দেশে রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি বছর এ দিবস পালিত হয়ে আসছে।

১৯৪৭ সালের  ২৩ জুন সারা ভারতে সিভিল সার্ভিস চালু করেন 'লৌহমানব' সর্দার বল্লভভাই পটেল। সেই বছরই ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সিভিল সার্ভিস থেকে বদলে নাম রাখা হয় অল ইন্ডিয়া সিভিল সার্ভিস। প্রতি বছর জাতীয় সিভিল সার্ভিস দিবসে নিজেদের কাজ যথাযথভাবে পালন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয় কিছু সরকারি আমলাকে। সারা দেশের বিপুল সংখ্যক জেলা এই পুরষ্কার কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

২০২০ সালে জনপ্রশাসনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী উৎকর্ষতার পুরস্কার দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে পাবলিক অ্যাডমিনিট্রেসন বিভাগের কিছু উচ্চপদস্থ অফিসারকে। তিনটি বিভাগে পুরস্কৃত করা হয় তাঁদের।

প্রথম বিভাগটি আটটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এবং তিনটি পার্বত্য রাজ্য, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে গঠিত। দ্বিতীয় বিভাগটি সাতটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত। তৃতীয় বিভাগটি ভারতের বাকি ১৮ টি রাজ্যের বাকী অংশ নিয়ে গঠিত।

ব্যক্তি হিসাবে সর্বোচ্চ ১ লাখ ও সংস্থা হিসাবে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরষ্কার প্রদানের এই অনুষ্ঠানটি প্রশাসনিক সংস্কার ও জনসাধারণের অভিযোগ ও অন্যান্য সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়। টাকা ছাড়াও পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হয় মেডেল। ২০০৬ সাল থেকে স্বতন্ত্র বা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে পুরস্কার প্রকল্পের আওকায় আসেন কর্মকর্তারা।

মেধাবী তরুণ জনগোষ্ঠীকে পেশা হিসেবে পাবলিক সার্ভিসকে বেছে নিতে উৎসাহিত করার উদ্দেশেই প্রতি বছর পালিত হয় জাতীয়  সিভিল সার্ভিস দিবস।