চণ্ডীগড়: পঞ্জাব ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরেছেন। জয়ও মিলেছে বিপুলভাবে। সদ্য গঠিত মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নেওয়া নভজ্যোত সিংহ সিধু কিন্তু জানাচ্ছেন, টেলিভিশনে কমেডি শো করা তিনি ছাড়বেন না। এর ফলে সরকারি কাজকর্মে কোনও সমস্যা হবে না বলে তাঁর দাবি।

সিধুকে জিজ্ঞাসা করা হয়, পঞ্জাবের বিভিন্ন সমস্যা মেটানোয় তিনি বেশি নজর দেবেন নাকি জোর দেবেন টিভি কেরিয়ারে। প্রাক্তন ক্রিকেটারের জবাব, যাঁরা তাঁকে ছ’ছ’বার নির্বাচিত করেছেন, সেই ভোটারদের যদি কোনও সমস্যা না থাকে, তবে এ নিয়ে এত কথা হচ্ছে কেন। অর্থাৎ টিভি তিনি ছাড়বেন না। ফলে সিধুই সম্ভবত একমাত্র মন্ত্রী, যিনি একজন জনপ্রিয় টিভি তারকাও।

স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসকে বেকায়দায় ফেলার এত বড় সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিরোধীরা। অকালি দল বলেছে, অমৃতসরের সাংসদ থাকার সময়েও সিধুর নিজের কেন্দ্রের দিকে কোনও নজর ছিল না। তাই গত লোকসভা ভোটে অকালি-বিজেপি ঠিক করেছিল, তাঁকে আর টিকিট দেওয়া হবে না।

১৯৯৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সিধু লোকসভার সাংসদ ছিলেন। তাঁর দাবি, টিভির কাজ করার জন্য জনসেবায় কোনও প্রভাব পড়বে না। সপ্তাহে মাত্র একদিন শ্যুটিং করতে হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। বিকেল তিনটেয় যান, ফেরেন পরদিন সকাল সাতটায়। সেটাই তাঁর একমাত্র রুজিরোজগার বলে তাঁর দাবি।

সিধু যতদিন তাদের দলে ছিলেন, ততদিন এ ব্যাপারে রা-ও কাড়েনি বিজেপি। এখন তারা বিষয়টিকে স্বার্থের সংঘাত বলে মনে করছে। তাদের বক্তব্য, মন্ত্রিত্বের কাজকর্ম লঘু না করে সিধু নিজের কমেডি শো চালিয়েই যেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত সুবিধে পাওয়ার জন্য নিজের দফতর ব্যবহার না করলেই হল। আম আদমি পার্টির বিধায়ক এইচ এস ফুলকা বলেছেন, তিনিও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে যথেষ্ট উপার্জন করছিলেন। কিন্তু রীতিমত চালু প্র্যাকটিস ছেড়ে পঞ্জাবের হয়ে কাজ করতে এসেছেন তিনি। সিধুর কাছ থেকেও সেটাই কাম্য।