পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭-র ২৫ সেপ্টেম্বরের ওই চিঠিটি লিখেছেন জনৈক কমরেড প্রকাশ। সুরেন্দ্র নামে একজনকে লেখা (পুণে পুলিশের দাবি, এই সুরেন্দ্র আসলে সুরেন্দ্র গ্যাডলিং) চিঠিতে রয়েছে, ছাত্রদের ব্যবহার করে অবশ্যই দেশব্যাপী প্রতিবাদ জোরদার করতে হবে। পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রশক্তি নরম থাকবে, যা ক্রমশ আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের অসুবিধায় ফেলে দেবে রাষ্ট্রকে। কংগ্রেস নেতারা এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে খুব আগ্রহী, পরবর্তী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অর্থ জোগাতেও সম্মত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আপনি আমাদের বন্ধুর সঙ্গে এই নম্বরে (পুলিশের দাবি, দিগ্বিজয়ের ফোন নম্বর) যোগাযোগ করতে পারেন। চিঠির উল্লিখিত ফোন নম্বরটি জাতীয় কংগ্রেসের ওয়েবসাইটেও রয়েছে বলে দাবি করেন এক শীর্ষ পুলিশকর্তা।
দিগ্বিজয়কে জেরার জন্য তলব করা হবে কিনা, জানতে চাওয়া হলে পুনের ডিসিপি (জোন ওয়ান) সুহাস বাভচে জানান, তল্লাসিতে পাওয়া চিঠিগুলিতে একাধিক ফোন নম্বর বেরিয়েছে, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে নম্বরগুলি কাদের, তাদের ভূমিকাই বা কী। কারও ভূমিকার প্রমাণ মিললে তদন্তে যা যা দরকার, করা হবে।
যদিও যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (আইন ও শৃঙ্খলা )শিবাজী বোদাখে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কাউকে নোটিস পাঠানো হয়নি।
দিগ্বিজয় আজ এলগার পরিষদ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন রাজনাথ সিংহ, নরেন্দ্র মোদী, দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশকে। বলেছেন, দ্বিগিজয় সিংহ কোনও দেশবিরোধী কাজে যুক্ত থাকলে মোদীজী, রাজনাথজী, ফঢ়নবিশজী ব্যবস্থা নিন, যদি তাঁদের সাহস থাকে।
এই মামলায় মাওবাদী যোগসাজসের অভিযোগে তেলুগু কবি ভারভারা রাও, অরুণ ফেরেইরা, ভার্নন গনজালভেস, সুধা ভরদ্বাজকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি গৌতম নওলাখা অভিযুক্ত হলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেয়নি।
সরকারপক্ষ গত রবিবার আদালতে জানায়, এলগার পরিষদের ব্যাপারে মাওবাদী সংস্রবের জন্য সব অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণার অভিযোগ যোগ করা হয়েছে।