নয়াদিল্লি: এনসিইআরটির স্কুল সিলেবাস বিএ, বি কম কোর্সের চেয়েও বড়। এর বহর অর্ধেক কমানো উচিত যাতে পড়ুয়ারা তাদের সার্বিক বিকাশের জন্য অন্য কিছু করার ফুরসত্ পায়। এমনই অভিমত কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকরের। পড়ুয়ারা যাতে খানিকটা হাঁফ ছাড়তে পারে, সেজন্য ২০১৯-এর শিক্ষাবর্ষ থেকে এনসিইআরটির সিলেবাস অর্ধেক ছাঁটা হবে।
জাভরেকর বলেন, জ্ঞান অর্জনের ক্ষমতার বিকাশের পর্বে পড়ুয়াদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া প্রয়োজন। আমি এনসিইআরটি-কে সিলেবাস অর্ধেক কমাতে বলেছি। ২০১৯-এর শিক্ষাবর্ষ থেকেই তা কার্যকর হবে।
রাজ্যসভা টিভি-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, এবার পরীক্ষা ও তার সঙ্গে আটকে দেওয়ার নিয়ম চালু হবে। সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনের পরের পর্বে এ ব্যাপারে একটি বিল নিয়ে আলোচনা হবে।
জাভরেকর বলেন, পরীক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া প্রতিযোগিতা হয় না, কোনও টার্গেটও থাকে না। কিন্তু ভাল ফল পেতে গেলে প্রতিযোগিতা থাকা উচিত অবশ্যই। মার্চে কোনও পড়ুয়া ফেল করলে মে মাসে একটা সুযোগ পাবে। কিন্তু তখনও অসফল হলে তাকে আটকে দেওয়া হবে।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মান খারাপ হওয়ার ব্যাপারেও উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে ছাত্রছাত্রীরাও ভাল শিখতে পারছে না। শিক্ষকদের মৌলিক কাজ হল পড়ুয়াদের কার কী ক্ষমতা, কোথায় কী দুর্বলতা, তা ঠিকমতো বুঝে নিয়ে সেই অনুসারে তাদের দেখভাল করা।
জাভরেকর এও জানান, শিক্ষার অধিকার আইনে ২০ লক্ষ শিক্ষকের ২০১৫-র মধ্যে ট্রেনিং হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মাত্র ৫ লক্ষকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ১৪ লক্ষের বেশি শিক্ষক স্কিল অর্থাত্ দক্ষতা বাড়ানোর কর্মসূচির আওতায় রয়েছেন। এতে অবশ্যই ভাল ফল হওয়া উচিত।
২০১৯ থেকে এনসিইআরটির স্কুল সিলেবাস অর্ধেক কমছে, জানালেন জাভরেকর
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
24 Feb 2018 06:48 PM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -