আজ কেরল পুলিশের ডিজিপি লোকনাথ বেহরার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। শর্মা জানান, জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে, এমন বেশ কিছু মেয়ের সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। বলেন, বিষয়টি উদ্বেগজনক। বেশ কয়েকটি সংগঠন ধর্মান্তকরণে মেয়েদের বাধ্য করায় জড়িত বলে দাবি শর্মার। তাদের ব্যাপারেই ডিজিপি-কে তদন্ত করতে বলেছেন তিনি। তাঁকে সংগঠনগুলির আর্থিক উত্সও খতিয়ে দেখতে বলেছেন।
কেরল মহিলা কমিশন অবশ্য গতকালই রাজ্যে জোর করে ধর্মান্তরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শর্মা ইতিমধ্যে হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়া ২৪ বছরের মেয়ে আকিলা অশোকন ওরফে হাদিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। শাফিন জাহান নামে যে যুবককে হাদিয়া বিয়ে করেছে, অভিযোগ, সে নাকি কেরলের কট্টরপন্থী ইসলামি মৌলবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার সদস্য, মগজ ধোলাই করে ধর্ম বদলে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে হাদিয়াকে। এটা লাভ জেহাদ, যার পিছনে আছে আইসিস। ১৬ আগস্ট ওই বিয়ে বাতিল করে দিয়ে তা লাভ জেহাদ কিনা, তদন্ত করতে এনআইএ-কে নির্দেশ দেয় কেরল হাইকোর্ট । সেই নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় শাফিন। হাদিয়াকে ২৭ নভেম্বর হাজির করতে তার বাবাকে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
নিমিশা ফতিমা নামে যে মেয়েটি স্বামীর সঙ্গে আইসিসে যোগ দিয়েছে বলে সন্দেহ, তার মা বিন্দুর সঙ্গেও দেখা করেন শর্মা। নিমিশা বেক্সিয়ান ভিনসেন্ট নামে এক খ্রিস্টানকে বিয়ে করে। অভিযোগ, দুজনেই ইসলাম গ্রহণ করে গত বছরের মে মাসে আফগানিস্তান চলে যায় আইসিসে যোগ দিতে।