নয়াদিল্লি: এক মহিলার সঙ্গে ‘অশালীন’ ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর বরখাস্ত হওয়া দিল্লির মন্ত্রী সন্দীপ কুমারের পক্ষে ব্লগে সওয়াল করায় আমআদমি পার্টির (আপ) মুখপাত্র আশুতোষকে সমন পাঠাল জাতীয় মহিলা কমিশন। তাঁকে ৮ সেপ্টেম্বর কমিশনে আসতে বলা হয়েছে।

সন্দীপকে বিতর্কিত ভিডিওতে যে মহিলার সঙ্গে ‘অশালীন’ অবস্থায় দেখা গিয়েছে, তিনি তাঁর বিরুদ্ধে বছরখানেক আগে তাঁকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। গত শনিবার গ্রেফতার হন সন্দীপ। তার আগে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর পাশাপাশি দল থেকে সাসপেন্ডও করে আপ।

তবে আশুতোষ ব্লগে লেখেন, ভিডিওতে এক পুরুষ ও মহিলাকে যৌন মিলনরত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। এটা পরিষ্কার, তাঁরা পরস্পরকে চেনেন। লোকচক্ষুর আড়ালে চার দেওয়ালের মধ্যে তাঁরা যৌন মিলনে সম্মত হয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন হল, দুজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে সহমতের ভিত্তিতে শারীরিক সম্পর্ক হওয়াটা কি অপরাধ?



কিন্তু মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ললিতা কুমারমঙ্গলমের বক্তব্য, ধর্ষণে অভিযুক্তকে সমর্থন করেছেন আশুতোষ। অত্যন্ত আপত্তিকর, অসম্মানজনক ব্লগ লিখেছেন বলে আমাদের মত। তাই এই সমন। কমিশন বৃহত্তর স্বার্থেই বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। দিল্লিতে সরকার চালানো দলের মুখপাত্র উনি। তাছাড়া দলটির নেতা, কর্মীরা মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসার একাধিক ঘটনায় অভিযুক্ত। সুতরাং সেই দলের মুখপাত্র হিসাবে তাঁর এমন ব্লগ লেখা উচিত নয় যাতে পিতৃতন্ত্র, নারীবিদ্বেষের প্রতিফলন থাকে।

পাশাপাশি ফৌজদারি তদন্ত যখন চলছে, তখন আশুতোষ গোটা বিষয়টিকে দুজন প্রাপ্তবয়স্কের সহমতের ভিত্তিতে ঘটা ব্যাপার বলে কেন সওয়াল করেছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন কুমারমঙ্গলম। এভাবে তাঁর আসরে নেমে পড়াটাও পিতৃতন্ত্রেরই পরিচয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে পাল্টা কমিশনকে আক্রমণ করেছেন আশুতোষও। কুমারমঙ্গলমকে বিজেপি জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। আশুতোষের প্রশ্ন, যেসব লেখক পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যৌনতা নিয়ে লেখালেখি করেন, তাঁদের প্রত্যেককেই কি কমিশন ডাকে, নাকি বাছাবাছি করে! কমিশনের নোটিস পেলে তিনি জবাব দেবেন বলে জানান আশুতোষ। বলেন, উইকিপিডিয়া দেখাচ্ছে, আপনি এখনও বিজেপির সদস্য। ললিতা কুমারমঙ্গলম বিজেপি জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য, বিজেপি জাতীয় সম্পাদক ছিলেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসাবে আপনার এ ব্যাপারে মিথ্যা বলা উচিত নয়।