শ্রীনগর: একদিকে যেখানে কাশ্মীরি যুবকদের হাতে পাথর তুলে দিয়ে সেনাকে লক্ষ্য করার উস্কানি দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, সেখানেই মঙ্গলবার দেখা গেল উলটপূরাণ! সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন করলেন প্রায় ১৯ হাজার কাশ্মীরি যুবক।


মঙ্গলবার উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার অন্তর্গত পট্টান অঞ্চলের হায়দারবাগে সেনাবাহিনীর নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেখানে উপত্যকার ১০টি জেলা থেকে মোট ১৮,৯৩১ জন কাশ্মীরি যুবক অনলাইনে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া।


তিনি জানান, আগামী ১২ তারিখ থেকে শুরু হবে নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপ। এই ধাপে আবেদনকারীদের শারীরিক সক্ষমতা, মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। তারপর তাঁদের সম্পর্কিত সমস্ত নথি ও তথ্য জোগাড় করা হবে। তিনি জানান, এই স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ায় যারা পাশ করবেন, আগামী ২৮ মে তাঁদের লিখিত পরীক্ষায় বসতে হবে।


সেনায় কাশ্মীরি যুবকদের যোগদানে ইচ্ছাপ্রকাশের বিষয়টিকে উৎসাহব্যঞ্জক বলেই উল্লেখ করেছেন নিয়োগের দায়িত্বে থাকা ব্রিগেডিয়ার জে এস সামইয়াল। তিনি বলেন, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কাশ্মীরি যুবকদের মধ্যে দেশভক্তি ও প্রেরণার কোনও খামতি নেই।


তিনি যোগ করেন, রাজ্যের আরও বেশি সংখ্যক যুবক যাতে সেনায় যোগ দিতে পারে, তার জন্য বাহিনী ভবিষ্যতে আরও নিয়োগ করবে। সেনাকর্তার মতে, এতে রাজ্যের যুবকদের একদিকে যেমন কর্মসংস্থান হবে, তেমনই সমাজের মূলস্রোতের দিকেও তাঁরা ঝুঁকবেন। এর ফলে গোটা উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রভাব ক্রমশ কমবে বলেও দাবি করেন তিনি।