নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতির কারণে নিট এবং জেইই পরীক্ষার আয়োজন পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে ফের সরব কংগ্রেস। দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী পড়ুয়াদের মতামত শোনার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন এবং তাঁদের মতামত অনুসারেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধীও এই ইস্যুতে সরকারকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণে নিট ও জেইই পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষার সঙ্গে কোনওভাবেই আপোস করা যায় না।
কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দল কোভিড ১৯ ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা জনিত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নিট) ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (জেইই) পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্র কিন্তু সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা সহ পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই নেওয়া হবে।
বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলির ছয়জন মন্ত্রী শুক্রবার চলতি বছরের নিট ও জেইই পরীক্ষা গ্রহণে কেন্দ্রকে অনুমতি সংক্রান্ত নির্দেশের পুণর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এই ইস্যুতে কংগ্রেস দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিরোধিতার কর্মসূচী পালন করছে। এরই অঙ্গ হিসেবে পড়ুয়া ও সরকারের প্রতি বার্তা দিতে কংগ্রেস সনিয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করেছে।

পড়ুয়াদের উদ্দেশে ওই ভিডিও বার্তায় সনিয়া বলেছেন, 'আপনাদের অনুভূতির শরিক আমিও। কারণ, আপনারা এক কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন। আপনাদের পরীক্ষাপ বিষয়, কখন তা গ্রহণ করা হবে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা শুধু আপনাদের জন্যই নয়, আপনাদের পরিবারের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনারা আমাদের ভবিষ্যৎ। আরও সম্বৃদ্ধ ভারত গড়ত আমরা আপনাদের ওপর নির্ভরশীল। সেজন্য পড়ুয়াদের ভবিষ্যত্ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে, সেক্ষেত্রে আপনাদের মতামত বিবেচনা করে দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার আশা, সরকার আপনাদের কথা শুনতে এবং সেই মতো সিদ্ধান্ত নেবে। এটা সরকারের কাছে আমার পরামর্শ'।
কংগ্রেসের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।
নিট হওয়ার কথা ১৩ সেপ্টেম্বর। অন্যদিকে, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রাস এক্সাম জেইউ-মেন অনুষ্ঠিত হবে ১-৬ সেপ্টেম্বর।
রাহুল গাঁধী বলেছেন, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত সরকারের শুনে সহমতে পৌঁছনো উচিত।

পড়ুয়াদের প্রতি ভিডিও বার্তায় রাহুল বলেছেন, 'আপনারা দেশের ভবিষ্যৎ। আপনারা পড়ুয়া এবং আপনারাই দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। একটা জিনিস আমার বোধগম্য হচ্ছে না, আপনাদের ওপরই কেন দায় চাপানো হবে এবং কেন আরও বেশি যন্ত্রণার ভার আপনাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে...কাজেই সরকার কেন আপনাদের ওপর কোনও কিছু চাপিয়ে দেবে? পড়ুয়াদের মতামত শোনা দরকার সরকারের'।