প্যারিসের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মোর সম্প্রতি ১৯৪৭-এর ১১ ডিসেম্বরের ফরাসি গোয়েন্দা রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছেন। তিনি বলেছেন, ফরাসি গোয়েন্দা নথিতে কোথাও বলা নেই যে, তাইওয়ানের বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যু হয়েছে। বরং নথি থেকে স্পষ্ট, ১৯৪৭-এর ডিসেম্বরেও জীবিত ছিলেন নেতাজী। তবে তাঁর কোনও হদিশ জানা ছিল না ফরাসী গোয়েন্দা সংস্থার।
মোর বলেছেন, এর থেকেই স্পষ্ট যে ফ্রান্স ১৯৪৫-এর ১৮ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যুর তত্ত্ব মেনে নেয়নি।
মোর মোর দাবি করেছেন, জীবিত অবস্থাতেই ইন্দোচিন থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন নেতাজী। গোয়েন্দা নথি অনুসারে, ১৯৪৭-র ডিসেম্বরেও তাঁর হদিশ পাওয়া যায়নি। এর অর্থ, ১৯৪৭-এর জীবিত ছিলেন নেতাজী। ‘সুভাষ চন্দ্র বসু সংক্রান্ত আর্কাইভাল তথ্য’ শিরোনামে ওই গোপন রিপোর্ট উল্লেখ করে মোর এই দাবি করেছেন।
মোর বলেছেন, ওই রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুভাষ চন্দ্র ছিলেন ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লিগের প্রাক্তন প্রধান ও জাপানি সংগঠন হিকারি কিকানের সদস্য। রিপোর্টে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, তিনি ইন্দোচিন থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে কীভাবে চলে যান, তা উল্লেখ করা হয়নি রিপোর্টে।
সায়গন থেকে টোকিও যাওয়ার পথে নেতাজীর মৃত্যু হয়েছিল বলে জাপান ও ব্রিটিশরাও ঘোষণা করেছিল। তবে ফরাসি সরকার এ বিষয়ে নীরবতাই বজায় রেখেছে। যদিও ১৯৪০-এর দশকে ভিয়েতনাম অথবা ইন্দোচিন ছিল ফরাসি উপনিবেশ।
মোর বলেছেন, জাপানের বিপর্যয় এবং ১৯৪৫-এর ১৫ আগস্ট জাপানের আত্মসমর্পণের পরই ফরাসিরা ব্রিটিশ বাহিনী সহ সায়গনে আসে এবং এখানকার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেয়। কিন্তু ফ্রান্স কখনই নেতাজীর মৃত্যু সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেনি। বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যুর তত্ত্বও ফ্রান্স কোনওদিন সায় দেয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন মোর।