নয়াদিল্লি: আমির খানের গজনি ছবির একটি অংশ যেন অভিনীত হল দিল্লিতে।


স্মৃতি হারিয়ে ফেলার অসুখে ভোগা এক মহিলাকে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক উবের চালক। দিল্লি থেকে ওই মহিলাকে তুলে গাজিয়াবাদের কাছে ধর্ষণ করে সে।

৬ তারিখ ঘটেছে এই ঘটনা। কিন্তু পুলিশের ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে এত দেরি হওয়ার কারণ, মহিলা এমন এক অসুস্থতায় ভুগছেন, যাতে আগের কোনও ঘটনার কথা মনে করতে পারেন না তিনি। ধর্ষণের পরেও তিনি পুলিশে যেতে চাননি, কারণ ধর্ষকের পরিচয়, কোথায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়- কিচ্ছু তাঁর মনে পড়ছিল না।

মহিলার বয়স ৩৮, বেকার, পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। পূর্ব দিল্লির কারকারডুমা আদালতে তাঁকে টার্গেট করে অভিযুক্ত। বাড়িতে পরিচারিকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁকে সে গাড়িতে ঢুকিয়ে নেয়। কাজের জন্য মরিয়া অসুস্থ মেয়েটি গাড়ি বুক না করেই তাতে চড়ে বসেন।

অভিযুক্ত চালকের বাড়ি গাজিয়াবাদের গোলকধাম এলাকায়। মহিলাকে সে বলে, তার স্ত্রী তাঁর কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন। তারপর নিজের বাড়ির কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁকে সে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মারধর করে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। তারপর ফিরিয়ে নিয়ে আসে পূর্ব দিল্লিতে।

মহিলা নিজেই স্থানীয় লালবাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছন, সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা দেখে খবর দেন পুলিশে। মহিলা পুলিশকে জানান, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিন্তু আর কিছু তাঁর মনে পড়ছিল না।  শুধু বলতে পারছিলেন, কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কারকারডুমা আদালত চত্বর থেকে তাঁকে গাড়িতে করে অনেক দূরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তা দিল্লির ভেতরে না বাইরে মনে করতে পারছিলেন না তিনি।

শেষমেষ এক মহিলা অফিসার তাঁকে বলেন, ওই চালক সংক্রান্ত কিছু একটা কথা মনে করতে। গোটা ঘটনার নব্বই শতাংশ ভুলে গেলেও মহিলা বলেন গোলকধাম সোসাইটির কথা। এরপর পূর্ব দিল্লি ও আশপাশের যাবতীয় এলাকা ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করে গাজিয়াবাদ সংলগ্ন ওই এলাকার কথা জানতে পারে পুলিশ।  সনাক্তকরণের জন্য অভিযোগকারিণীকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার একদিন পর গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। তার দুটি বিয়ে, চার সন্তান। তার বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, অস্বাভাবিক যৌনতা ও বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।