নয়াদিল্লি: সম্প্রসারণে রাজনীতিবিদের চেয়ে প্রাধান্য পেয়েছেন প্রাক্তন আমলা-রা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলকে এভাবেই কটাক্ষ করল কংগ্রেস।


মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনা করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। নতুন মন্ত্রিসভাকে ‘সিনিয়র সিটিজেন্স ক্লাব’ হিসেবে উল্লেখ করে কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি জানান, যেখানে দেশের গড় বয়স ২৭, সেখানে মন্ত্রীদের গড় বয়স ৬০.৪৪ বছর।


তাঁর দাবি, মন্ত্রিসভার রদবদল প্রক্রিয়া থেকে দূরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, দেখে মনে হচ্ছে, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-ই হলেন প্রধানমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রসারণের আগে কীভাবে অমিত শাহ মন্ত্রীদের ডেকে ইস্তফা দিতে বলেন।


এদিনের সম্প্রসারণকে ‘বহরে বেশি, কাজে অষ্টরম্ভা’ বলে কটাক্ষ করেন তিওয়ারি। এদিন, মন্ত্রিসভায় ৯ নতুন মুখকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে চারজন প্রাক্তন আমলা, যাঁদের দুজন—প্রাক্তন আইএএস অফিসার আল্ফন্স কন্নণথানম ও প্রাক্তন কূটনীতিবিদ হরদীপ সিংহ পুরী—সাংসদই নন। পাশাপাশি, মুম্বইয়ের প্রাক্তন কমিশনার সত্যপাল সিংহ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজকুমার সিংহকেও এদিন মন্ত্রী করা হয়।


এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে মোদী সরকাকে কটাক্ষ করেন মণীশ তিওয়ারি। বলেন, এর থেকে স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রী নিজের রাজনৈতিক সতীর্থদের বিশ্বাস করেন না। তাঁর অভিযোগ, আগামী বছর নির্বাচনে হতে চলা কর্নাটকে ‘সাম্প্রদায়িকতা’ ছড়াতে একজন চিকিৎসক-প্রহারে অভিযুক্তকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।