যোধপুর: পাকিস্তানে ঢুকে বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি গুঁড়িয়ে কর্মদক্ষতা, শক্তির পরিচয় দিয়েছে বায়ুসেনার মিরাজ-২০০০। ভারতীয় বায়ুসেনার এই যুদ্ধবিমানের দুঃসাহসিক কীর্তি অক্ষয় করে রাখতে পরিবারের সদ্যোজাতের নাম মিরাজ রাখল এখানকার একটি গ্রামের এক পরিবার। মিরাজ-২০০০ এর দাপটে জয়েশের সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর মাটিতে মিশে যাওয়ার কিছুক্ষণ বাদেই রাজস্থানের নগৌরের দাবরা গ্রামের এক দম্পতির পরিবারে ভূমিষ্ঠ নতুন সদস্যের নাম রাখা হল মিরাজ সিংহ রাঠোর।
নবোজাত সন্তানের বাবা, পেশায় স্কুলশিক্ষক মহাবীর সিংহ বলেছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার সাফল্যকে সবচেয়ে ভাল সেলিব্রেট করার উপায় হল তাকে চিরতরে অম্লান করে রাখা। এই কীর্তি মিরাজ লড়াকু বিমানের। যুদ্ধবিমানগুলি বোমা ফেলে সন্ত্রাসের ঘাঁটি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার সময়ই বাচ্চাটা পৃথিবীর আলো দেখল, তাই আমরা ঠিক করি, যুদ্ধবিমানের নামেই ওর নাম রাখা হবে। শিশুটির কাকা তার জন্মের খবর পেয়ে মিরাজ নামটি ঠিক করে দেন। তিনি বায়ুসেনার কর্মী, নৈনিতালে নিযুক্ত রয়েছেন। মহাবীর বলেন, নামটা শুনেই আমরা রাজি হই। এভাবেই মিরাজ-২০০০ এর মহাশক্তির প্রমাণ দেওয়া অভিযানকে অভিনব উপায়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর সিদ্ধান্ত নিই।
ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের রাতেই প্রসব বেদনা শুরু হয় মহাবীরের স্ত্রীর। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ সন্তান প্রসব করেন তিনি।
বাচ্চাটির আরও এক কাকা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করেন। পরিবারটি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যোগসূত্র নিয়ে গর্বিত।