গতকালের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, বিষয়টির সঙ্গে জীবনের অধিকারের প্রশ্ন জড়িত। সুতরাং ঘটনাটির পিছনে গাফিলতি, ত্রুটি ছিল কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে অবিলম্বে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হওয়া উচিত।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব রাজীব কুমারকে পাঠানো নোটিসে এমন ট্র্যাজেডির ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি ঠেকানো সুনিশ্চিত করা জরুরি বলেও অভিমত জানানো হয়েছে।
কমিশন বলেছে, রাজ্য সরকারকে ঘটনাটি তদন্ত করে চরম সজাগ থাকতে বলা হয়েছে যাতে নিহতদের পরিবারগুলি দ্রুত আর্থিক সাহায্য পায়, এ ব্যাপারে কোনও বিলম্ব না হয়। আহতরা যাতে 'সবচেয়ে ভাল' চিকিত্সা পান এবং তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়, তাও সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।
রাজ্য সরকারের তরফে ৬ সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট কমিশনে পাঠানো হতে পারে বলে খবর।
১৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন রায় বরেলির এই কেন্দ্র থেকে ৯টি রাজ্যে বিদ্যুত্ পাঠানো হয়, সেখানে প্রায় ৮৭০ জন কাজ করেন।
মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা এককালীন অনুদান ঘোষণা করে গতকালই তিনি গভীর ভাবে ব্যথিত বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন এনটিপিসি-র বয়লার ফেটে হতাহতদের পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুতমন্ত্রী আর কে সিংহ। রাজ্য প্রশাসন ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত ঘোষণা করেছে। উনচাহারে বিদ্যুতমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমার মনে হয়, যে এককালীন অনুদান ঘোষণা আগে ঘোষণা করা হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। মৃতদের পরিবার পিছু ২০ লক্ষ টাকা, গুরুতর জখমদের পরিবারগুলি ১০ লক্ষ টাকা করে, ছোটখাট আঘাত পাওয়া শ্রমিকদের পরিবারগুলি পাবে ২ লক্ষ টাকা করে। ওয়ার্কমেন কমপেনসেশন রুলসের আওতায় বরাদ্দ ক্ষতিপূরণের বাড়তি হিসাবে এই অনুদান দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।