কেন্দ্রীয় শীর্ষ তদন্ত সংস্থার জনৈক মুখপাত্র বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইনে ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আইনে যেমন প্রয়োজন, সেই অনুসারে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল আসিয়ার বাড়িটি বাজেয়াপ্ত করায় সম্মতি দেন। বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর নির্দেশ দেওয়া অফিসারের সম্মতি ছাড়া বাড়িটি বিক্রি করা, হাতবদল বা অন্য কোনও ভাবে ব্যবহার করা যাবে না। রাজস্ব সংক্রান্ত নথিপত্রে বাড়িটির বাজেয়াপ্তকরণ অন্তর্ভুক্ত করতে শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনারকে নির্দেশের একটি কপি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হল ইউএপিএ-র ২৫ (আই) ধারায়। তাতে বলা হয়েছে, তদন্তকারী অফিসার কোনও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারেন যদি তাঁর এটা বিশ্বাস করার মতো কারণ থাকে যে, সেটি সন্ত্রাসবাদ থেকে প্রাপ্ত অর্থে কেনা হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে আনদ্রাবি, তার দুই সহযোগী সোফি ফেহমিদা ও নাহিদা নাসরিনের বিরুদ্ধে ট্যুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব ও পাকিস্তানের কয়েকটি সহ একাধিক টিভি চ্যানেল ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগে চার্জশিট দেয় এনআইএ। চার্জশিটে বলা হয়, তারা অভ্যুত্থান ঘটানো, ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বার্তা, ভাষণ প্রচারের জন্য সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছে।
নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী দুখতারান সরাসরি ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে আলাদা করে হিংসার পথে পাকিস্তানে জুড়ে দেওয়ার দাবি করে। পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সহায়তা, মদতে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে কাশ্মীরের মানুষকে উসকানি দিচ্ছে, ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত আনদ্রাবির গোষ্ঠী।
আনদ্রাবি ও তার দুই সঙ্গীকে গত বছরের এপ্রিলে গ্রেফতার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। জুলাইয়ে মামলার ভার দেওয়া হয় এনআইএ-কে।
এনআইএ বলেছে, জেরায় আনদ্রাবি স্বীকার করে, সে নানা বিদেশি সূত্র থেকে অর্থ, ডোনেশন সংগ্রহ করেছে, সেজন্য দুখতারান উপত্যকায় মহিলাদের দিয়ে বিক্ষোভেরও আয়োজন করেছে।