দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমে এনআইএ-র আইজি সঞ্জীব কুমার বলেছেন, কাশ্মীর উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোর কাজে লস্করকে সাহায্য করছে পাক সেনা। লস্করের শিবিরে সাদা পোশাকে ঘুরছেন পাক সেনা বাহিনীর আধিকারিকরা। এ কথা নিজের স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে বাহাদুর আলি। এছাড়াও তার কাছ থেকে আরও অনেক তথ্য জানা গেছে।
বাহাদুর আলি ওরফে আবু সৈফুল্লাহ গত ২৫ জুলাই কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। এনআইএ জানিয়েছে, তাকে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য নিয়োগ করেছিল পাক জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া। জঙ্গি কার্যকলাপে উত্সাহিত করতে তার মগজধোলাই করেছিল লস্কর। এরপর বাহাদুর আলিকে পাকিস্তানের মানসেরা, আকসা ও মুজফ্ফরাবাদে তিন দফায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বাহাদুর আলি স্বীকার করেছে যে, তার সঙ্গে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩০-৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ভারতে আসার আগে তার সঙ্গে পাক সামরিক বাহিনীর আধিকারিকরা দেখা করেন। সে মেজর সাব ও ক্যাপ্টেন সাব নামে দুই সেনা আধিকারিকের নামও উল্লেখ করেছে।
বাহাদুর জানিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজের জন্য আলফা-৩ নামে একটি কম্যান্ড সেন্টার রয়েছে। আলফা-৩ লস্করের কন্ট্রোল রুম। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একটি সুবিধাজনক স্থানে এই সেন্টারটি রয়েছে। সেখান থেকেই থেকে লস্করের হ্যান্ডলাররা জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। এজন্য লস্কর জঙ্গিরা জাপানে তৈরি অত্যাধুনিক আইকম ওয়্যারলেস সেট ব্যবহার করে।
পাক জঙ্গির স্বীকারোক্তি ভিডিও-