শ্রীনগর ও নয়াদিল্লি: কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের পিছনে আর্থিক মদতের তদন্তে নেমে কট্টরপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির ছেলে নঈম গিলানিকে সমন পাঠাল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। তাঁকে শ্রীনগরের সাব অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, বিদেশ থেকে কাশ্মীরের বেশ কিছু লোকজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা পড়ছে, যা উপত্যকায় হিংসা, অশান্তি ছড়াতে, ভারত-বিরোধী কাজে লাগানো হচ্ছে বলে নানা সূত্রে খবর পেয়ে এনআইএ প্রাথমিক তদন্ত নথিভুক্ত করেছে। তার ভিত্তিতেই তারা খোঁজখবর করছে, ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ফুলেফেঁপে ওঠার কারণ কী। সে ব্যাপারেই গিলানির বড় ছেলের বক্তব্য রেকর্ড করতে তাঁকে তলব করল শীর্ষ তদন্ত সংস্থাটি।


এদিকে নঈমকে ডেকে পাঠানোর পদক্ষেপে বিবৃতি দিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গিলানির নেতৃত্বাধীন হুরিয়ত কনফারেন্স। তাদের নেতাদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া গিলানির পরিবারকে ‘ভীত, সন্ত্রস্ত করে তোলা, কালিমালিপ্ত করার’ই অভিযান, বলেছে তারা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহম্মদ আশরফ সেহেরি, পীর সইফুল্লাহ, আলতাফ আহমেদ শাহ ও আয়াজ আকবরকে আটক করে হেনস্তা, জেরার পর গিলানির বড় ছেলে ডঃ নঈম গিলানিকেও নোটিস পাঠিয়েছে এনআইএ। এটা উপত্যকায় ‘গণ অভ্যুত্থান’ দমনে কেন্দ্রের ‘শিশুসুলভ চেষ্টা’ বলেও কটাক্ষ করেছে হুরিয়ত। তাদের অভিযোগ, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের ‘চাপে’ ফেলতে এনআইএ-কে এ ধরনের ‘সাজানো মামলাগুলি’ টেনে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কাজ দেওয়া হয়েছে।

যদিও তাদের বিরুদ্ধে তোলা এহেন অভিযোগ ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে এনআইএ জানিয়েছে, তারা একটি বৈধ মামলা তদন্ত করে দেখছে যেখানে অভিযোগ রয়েছে যে, রাজ্যে বাইরে থেকে টাকা পাঠিয়ে সন্ত্রাসবাদী, ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে খরচ করা হচ্ছে।