কোঝিকোড়:  কেরলের কোঝিকোড়ের যে বাড়ি থেকে প্রথম ছড়ায় মারণ নিপা ভাইরাস, সেই বাড়ির আক্রান্ত চতুর্থ সদস্যের মৃত্যু। প্রসঙ্গত, কোঝিকোড়ের ওই বাড়ির পাশেই ছিল এক অব্যবহৃত পাতকুয়ো। সেই পাতকুয়োর মধ্যে থেকেই মেলে একাধিক বাদুড়ের মৃতদেহ। ওই পাতকুয়ো পরিস্কার করার পরই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হন মুসা পরিবারের দুই সদস্য, ভি মুসার দুই ছেলে। তারপর সেখান থেকে রোগ ছড়ায় বাড়ির কর্তার ভাইয়ের বউয়ের শরীরে। তিনি আক্রান্ত ভি মুসার দুই ছেলেকে দেখতে এসেছিলেন। তাঁদের তিনজনের চিকিৎসা করতে গিয়ে সোমবার ২৮ বছর বয়সি নার্স লিনি পুতুসেরির মৃত্যু হয়। জ্বরে কাবু ছিলেন বাড়ির কর্তা ভি মুসাও। গত এক সপ্তাহ ধরে তাঁকে রাখা হয়েছিল লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই পরিবারের অপর দুই সদস্য ভি মুসার স্ত্রী এবং আরেক ছেলে অবশ্য এখনও সুস্থ রয়েছেন। তবে তাঁদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।


কেরলে আরও দুই নিশ্চিত নিপা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। তাঁদেরও চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। তবে এই দুই ব্যক্তি কোনওভাবে মুসা পরিবারের সান্নিধ্যে এসেছিলেন, না অন্য কোথাও থেকে রোগ সংক্রমিত হয়েছে তাঁদের দেহে, সেটা এখনও জানা যায়নি।

এদিকে কর্ণাটকে দুই ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে, কারণ তাঁদের শরীরেও নিপার উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছে। সম্প্রতি এই দুই ব্যক্তিও কেরল গিয়েছিলেন, একজন মুসা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেন। কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোরের স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এই দুই ব্যক্তির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে এখনও রক্তের নমুনা পরীক্ষার ফল না আসা পর্যন্ত চিকিৎসকরা নিশ্চিত করে কিছু বলছেন না।

এদিকে কেরলের আরও বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭ জন নিপা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। হু তরফে জানানো হয়েছে, এইমুহূর্তে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কোনও প্রতিষেধক নেই। আক্রান্তকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখতে হবে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে। জিকা বা ইবোলার মতো এটা মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে যেকোনও সময়, দাবি করা হয়েছে হু-র পক্ষ থেকে।