দিল্লির পাতিয়ালা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক এই নির্দেশ দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত পবন গুপ্তা, বিনয় কুমার শর্মা ও অক্ষয় কুমারের আইনজীবী আদালতের কাছে সাজা কার্যকর 'অনির্দিষ্টকাল স্থগিত' রাখার আর্জি জানান। কারণ, বিনয়ের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিজ্ঞার আর্জি এখনও বকেয়া রয়েছে।
তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ এই আর্জির বিরোধিতা করে। জেল কর্তৃপক্ষ বলে, একজনের প্রাণভিক্ষার আর্জি বকেয়া এবং অন্যদের ফাঁসি দেওয়া যেতে পারে।
দোষীদের আইনজীবী জেল কর্তৃপক্ষের এই যুক্তির বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, নিয়ম অনুসারে কোনও এক দোষীর আর্জি বকেয়া থাকলে অন্যদের ফাঁসি দেওয়া যায় না।
সাজা কার্যকরের দিন ফের পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ নির্ভয়ার মা আশা দেবী। তিনি বলেছেন, দোষীরা যা চেয়েছিল, তাই হয়েছে। তিনি বলেছেন, দোষীদের আইনজীবী আমাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন যে, দোষীদের কখনও ফাঁসি হবে না। আমি আমার লড়াই চালিয়ে যাব। সরকারকে দোষীদের ফাঁসি দিতে হবে।
এই মামলায় চতুর্থ সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ কুমারের প্রাণভিক্ষার আর্জি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ গত ১৭ জানুয়ারি নাকচ করে দিয়েছেন। এই আর্জি বাতিলকে চ্যালেঞ্চ জানিয়ে দায়ের করা আবেদন সুপ্রিম কোর্ট গত বুধবার নস্যাত্ করে দিয়েছিল।
নিম্ন আদালত গত ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ছয়টায় তিহাড় জেলে চার দোষীর সাজা কার্যকরের জন্য কালো পরোয়ানা জারি করেছিল।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি স্থির হয়েছিল, ২২ জানুয়ারি ফাঁসি হবে চার দোষীর।
বিনয় ও অক্ষয়ের কিউরেটিভ পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছে। পবন এখনও পর্যন্ত কিউরেটিভ আর্জি জানায়নি।
সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ আর্জি বাতিল হয়ে যাওযার পর দোষীদের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিজ্ঞার আর্জি জানানোর বিকল্প রয়েছে।
২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর ২৩ বছরের ফিজিওথেরাপির ছাত্রীকে দিল্লিতে একটি চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করা হয় এবং নৃশংস নির্যাতন তাঁর ওপর চালানো হয়। একপক্ষ কাল পরে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে থেমে যায় তাঁর জীবনের লড়াই। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নির্যাতিতা।