নয়াদিল্লি: নির্ভয়া মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসি দিতে স্বেচ্ছায় ফাঁসুড়ে হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ ১৫ টি চিঠি পেয়েছে। এগুলির মধ্যে দুটি চিঠি এসেছে বিদেশ থেকে।
২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর ২৩ বছরের ফিজিওথেরাপির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর ওপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই নারকীয় ঘটনার সপ্তম বর্ষপূর্তির আগে দোষীদের সাজা অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জোরাল হয়েছে। নির্ভয়ার মা বৃহস্পতিবার দোষীদের সাজা অবিলম্বে কার্যকর করতে সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্র সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট তাদের দোষী সাব্যস্ত করার পর আড়াই বছর কেটে গিয়েছে। তাদের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে দেড় বছর আগে। আমি আদালত ও সরকারের কাছে অবিলম্বে সাজা কার্যকরের আর্জি জানাচ্ছি।
নির্ভয়া মামলার অন্যতম দোষী অক্ষয় কুমার সিংহর রিভিউ পিটিশনের শুনানি আগামী ১৭ ডিসেম্বর করার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতিতার মা ওই আর্জি জানিয়েছেন।
এরইমধ্যে তিহাড় জেলে দোষীদের সাজা কার্যকর করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। জেলের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝ পর্যায়ের আধিকারিক বলেছেন, স্বেচ্ছায় ফাঁসুড়ে হতে চেয়ে আমাদের কাছে দিল্লি, গুরুগ্রাম, মুম্বই, ছত্তিশগঢ়, কেরল ও তামিলনাড়ু থেকে চিঠি এসেছে। দুটি চিঠি এসেছে লন্ডন ও আমেরিকা থেকেও। এক বয়স্ক নাগরিক, এক অ্যাডভোকেট ও এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টও স্বেচ্ছায় এই কাজ করতে চেয়েছেন। আমাদের অবশ্য তাঁদের লাগবে না। প্রয়োজন হলে জেলের কোনও আধিকারিক কাজটা করতে পারেন। আফজল গুরুর ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছিল।
ইতিমধ্যে অন্যতম দোষী পবন গুপ্তাকে মান্ডোলি জেল থেকে তিহাড়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিহাড় জেলে এই মুহূর্তে ১২ বন্দীর ফাঁসি সাজা কার্যকর হওয়ার তালিকায় রয়েছে। জেলের কোনও সরকারিভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও ফাঁসুড়ে নেই। অতীতে মীরাট জেলের এক ফাঁসুড়েকে কাজে লাগানো হয়েছিল।