প্রসঙ্গত, বিভিন্ন ক্ষেত্রে লড়াকু মহিলাদের সম্মানিত করার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন ডিজিপি। সেখানেই এসেছিলেন নির্ভয়ার মা। আশা দেবীকে সেখানে দেখে, এধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করেন সাঙলিয়ানা। তবে এখানেই থামেননি তিনি। সাঙলিয়ানা আরও বলেন, ধর্ষণের সময় যদি ধর্ষকের সংখ্যা বেশি থাকে, বা তারা বেশি ক্ষমতাবান হয়, তাহলে অবিলম্বেই নির্যাতিতার উচিত আত্মসমর্পন করা। পরে সেই সমস্ত হামলাকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে। কিন্তু কোনওভাবে প্রতিরোধের চেষ্টা করলে, খুন হতে হয় নির্যাতিতাকে।অন্তত খুন হওয়া থেকে বাঁচতে প্রতিরোধ না করাই ভাল।
একজন প্রাক্তন আইনের রক্ষকের থেকে এধরনের মন্তব্য কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়, মত সেদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের। মহিলাদের জন্যে এধরনের মন্তব্য অত্যন্ত অসম্মানজনক।
মাসখানেক আগেই নির্ভয়ার মৃত্যুর পঞ্চম বার্ষিকী ছিল। পাঁচটা বছর কেটে গেলেও পরিস্থিতি যে একটুও বদলায়নি, সেকথা নির্ভয়ার মা-বাবার কথায় স্পষ্ট। আজও দেশে মেয়েরা একইরকমের অসুরক্ষিত। যতবারই দিল্লিতে কোনও মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়, তখনই নির্ভয়ার মায়ের মনে হয়, তাঁর মেয়েই ফের অত্যাচারের শিকার হয়েছে। দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের নির্যাতিতার বাবা-মা দুজনেই চান এমন এক বিচারব্যবস্থা যাতে দ্রুত বিচার পায় নির্যাতিতারা। প্রসঙ্গত, এখনও নির্ভয়ার বাবা-মাকে মেয়ের বিচারের জন্যে আদালতের দরজায় ঘুরতে হচ্ছে। এমনকি ঘটনায় অভিযুক্তরা দোষীসাব্যস্ত হলেও, তারা এখন চূড়ান্ত শাস্তি পায়নি, আক্ষেপ নির্ভয়ার বাবা বদ্রীনাথ সিংহের।