পটনা: এ নিয়ে ষষ্ঠবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হলেন নীতীশ কুমার। আর এর মধ্যে চারবারই বিজেপির সমর্থন রইল তাঁর সঙ্গে।


আজ বেলা ১০টায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশকুমার। জানা গিয়েছে, নয়া মন্ত্রিসভার জেডিইউ ও বিজেপির ১৪ জন করে প্রতিনিধি থাকছেন। নীতীশের সঙ্গে আজ উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিজেপির সুশীল কুমার মোদী।

শপথগ্রহণের ২ দিনের মধ্যে তাঁদের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ দিতে হবে। হিসেবমত জেডিইউ-বিজেপি সরকারের সঙ্গে ১৩২ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে আর ম্যাজিক ফিগার ১২২। অর্থাৎ সব কিছু ঠিকঠাক চললে এনডিএ-র ঝুলিতে আরও একটি রাজ্য এসে গেল।

বিহারের রাজনীতিতে লালু-নীতীশ-বিজেপি সমীকরণ বহু পুরনো। এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু লালুর সঙ্গে সম্পর্কে মরচে ধরার পর নীতীশ বিজেপির সাহায্যে বিহারের মসনদে বসেন। কিন্তু ২০১৩-য় নরেন্দ্র মোদীকে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরলে এনডিএ ছাড়েন নীতীশ। রাজনৈতিক মহল বলে, তিনি নিজেই প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। তখন মোদীর বিরুদ্ধে নিয়মিত বিষোদগারও করতেন তিনি।

বিহার বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে কুর্সি থেকে দূরে রাখার বাধ্যবাধকতায় নীতীশ মরিয়া হয়ে লালুর হাত ধরেন। কিন্তু যে লালুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তিনি এক সময় সরব হয়েছিলেন, জোটের স্বার্থে তাঁর সঙ্গে চলাটা তাঁর পক্ষে সহজ ছিল না। বিশেষ করে লালু যেভাবে দুই ছেলে তেজস্বী ও তেজপ্রতাপকে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মুখ করে তোলেন, তাতে প্রশ্ন ওঠে, নীতীশের বকলমে বিহারে সরকারটা লালুই চালাচ্ছেন কিনা।

কিন্তু পরিস্থিতি এখন বদলেছে। নোট বাতিল থেকে জিএসটি, রাষ্ট্রপতি ভোট- সবেতেই মোদী সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন করেছেন নীতীশ। মোদীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বরফ গলেছে। তাই কাল লালু পুত্র তেজস্বীর দুর্নীতির প্রশ্নে তিনি জেডিইউ ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁকে।










জবাবে নীতীশের টুইট




ঘটনার দ্রুততায় হতবাক আরজেডির এখন বসে বসে ক্ষত চাটা ছাড়া উপায় নেই। তেজস্বী বলেছেন, নীতীশ নিজেই তো খুনের দায়ে অভিযুক্ত, কোন যুক্তিতে তাঁদের প্রশ্ন করছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, নীতীশ আগে থেকেই ঠিক করে নিয়েছিলেন, বিজেপির সঙ্গে যাবেন। তাই ছুতো হিসেবে তাঁকে বলির পাঁঠা করেছেন। একক বৃহত্তম দল হিসেবে রাজ্যপালের তাঁদেরই আগে সরকার গড়তে ডাকা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।