নয়াদিল্লি: লালু-পুত্রকে নিয়ে বিহারে জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেস জোটে অশান্তি ক্রমশ বাড়ছে। দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদবের ইস্তফা চেয়ে বিরোধী শিবির সুর চড়াচ্ছে। অস্বস্তিতে পড়ে এবার রাহুল গাঁধীর কাছে বিষয়টি তুলে নিষ্পত্তি চাইলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।


জেডিইউ নেতা শনিবার কংগ্রেস সহ সভাপতির দেখা করে জানিয়ে দিয়েছেন, উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর নামে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের ইস্যুতে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে কংগ্রেসকে, তেজস্বীকে ইস্তফা দিতে বলুন তাঁরা।

নীতীশ এ ব্যাপারে রাহুলকে কোনও সময়সীমা দেননি, যদিও সূত্রের খবর, ২৮ জুলাই বিহার বিধানসভার অধিবেশন বসছে। সেখানে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ার আগেই যেন তেজস্বীকে সরানো হয়।

৪০ মিনিট কথা হয় নীতীশ, রাহুলের। নীতীশ নাকি রাহুলকে বলে এসেছেন, জোটের বৃহত্তর স্বার্থেই তেজস্বীর আর মন্ত্রী থাকা কাম্য নয়, তিনি চালিয়ে গেলে বিরোধীদের হাতে অহেতুক একটা ইস্যু তুলে দেওয়া হবে।

যদিও রাহুল কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জানা যায়নি। তবে শোনা যাচ্ছে, তিনি দলের এক সিনিয়র নেতাকে লালুর সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন।

অবশ্য আরজেডি সভাপতি লালু্প্রসাদ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই ছেলে তেজস্বীর নাম করেছে বলেই তাঁকে মন্ত্রিপদ ছাড়তে হবে বলে মনে করেন না। লালুর দাবি, তেজস্বী নির্দোষ, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে ফাঁসানো হচ্ছে ছেলেকে।

কিন্তু নীতীশের দলের নেতাদের অভিমত, নীতীশের তিন দফার শাসনে বিহারে একটিও বড় দুর্নীতি, আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ নেই। সেখানে দুর্নীতি ইস্যুতে সেই সুনাম নষ্ট করার কোনও মানে হয় না। অতএব লালু পুত্রের সামনে ইস্তফা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই।

সিবিআইয়ের মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রেলমন্ত্রী থাকাকালে লালু পটনায় দুর্নীতির মাধ্যমে তিন একর জমি হাতিয়েছেন, বর্তমানে যার মালিক তেজস্বী, তাঁর মা ও ভাইবোনেরা। বিহার বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ার আগে তেজস্বী ৯০ কোটি টাকার বেশি দামের ওই জমির বিষয়টি প্রকাশ করেননি।

কংগ্রেস অবশ্য নীতীশকে নিয়েও সমস্যায় পড়েছে তিনি ইদানীং নানা ইস্যুতে বিরোধীদের ছেড়ে শাসক শিবিরের পক্ষে দাঁড়ানোয়। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বেলায়ও বিরোধী শিবির থেকে বেরিয়ে এনডিএ প্রার্থী, বিহারের প্রাক্তন রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দকে সমর্থন করেন নীতীশ।