গতকাল কংগ্রেস সভানেত্রীর ডাকা মধ্যাহ্নভোজে বিরোধী শিবিরের নেতারা আলোচনা করেন আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই নিয়ে। রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ঠিক করার ইস্যু সামনে রেখে বিরোধী জোটের সলতে পাকানোই ছিল আসল উদ্দেশ্য।
১৭টি দলের নেতারা ছিলেন বৈঠকে। সেখানে নিজে না গিয়ে জেডি (ইউ)-এর শীর্ষনেতা শারদ যাদবকে পাঠান নীতীশ। একইসঙ্গে তিনি যে আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন, সেই ইঙ্গিতও দেন।
এদিন ভারত সফরে আসা মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীণ যুগনাথের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছিলেন মোদী। তারপরই তাঁর কাছে হাজির হন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ট্যুইট করেও মোদী-নীতীশ সাক্ষাতের কথা জানানো হয়।
তিনি কি পুরনো 'তিক্ততা' পিছনে ফেলে মোদীর কাছাকাছি আসছেন আবার? এহেন জল্পনার মধ্যেই নীতীশ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, বিহারের সমস্যা নিয়ে কথা বলতেই তিনি এসেছিলেন। মোদীর সঙ্গে নতুন বোঝাপড়ার জল্পনা উড়িয়ে বলেন, গঙ্গায় পলি জমার সমস্যা ভয়াবহ মাত্রা নিচ্ছে। বন্যার ভ্রকুটি রয়েছে। তাই এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলা দরকার বলে মনে হয়েছে।
নীতীশ যে বিরোধী শিবির ছাড়েননি, বোঝাতে গিয়ে জানান, ২০ এপ্রিল তিনি সনিয়ার সঙ্গে দেখা করে বিরোধী ঐক্য ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন।