নয়াদিল্লি: আগামীকাল লোকসভায় তেলুগু দেশম পার্টির আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটি হতে চলেছে। তার আগে আজ কোন দল কতটা সময় বলতে পারবে, সেটা ঠিক হয়ে গেল। বিজেপি ৩ ঘণ্টা ৩৩ মিনিট, কংগ্রেস ৩৮ মিনিট, এআইএডিএমকে ২৯ মিনিট, তৃণমূল কংগ্রেস ২৭ মিনিট, বিজেডি ১৫ মিনিট, শিবসেনা ১৪ মিনিট, টিডিপি ১৩ মিনিট, টিআরএস ৯ মিনিট, সিপিএম ৭ মিনিট, এনসিপি ৬ মিনিট, সপা ৬ মিনিট, এলজেপি ৫ মিনিট এবং শিরোমণি অকালি দল, আরএলএসপি ও এডি-র মতো দলগুলির জন্য ১২ মিনিট বরাদ্দ করা হয়েছে।


১৫ বছর পর কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ বাড়ছে। সরকারকে চাপে ফেলা যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস। বিজেপি অবশ্য এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা বলেছে, বিরোধীদের কাছে প্রয়োজনীয় সংখ্যা নেই। কেন্দ্রের শাসক দল সূত্রে খবর, লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনকে বাদ দিয়ে ৩১৪ জন সাংসদের সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী। লোকসভায় এখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য ২৬৭ জন সাংসদের সমর্থন দরকার। বিজেপি-র সাংসদ সংখ্যা তার চেয়ে বেশি। ফলে জয় নিয়ে সংশয়ে নেই নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের দল।

৫৩৩ জন সদস্য বিশিষ্ট লোকসভায় এনডিএ-র সাংসদ সংখ্যা ৩১৩। এর মধ্যে বিজেপি-র ২৭৪, শিবসেনার ১৮, লোক জনশক্তি পার্টির ৬ ও শিরোমণি অকালি দলের চারজন সাংসদ আছেন। বিরোধী দলগুলির সাংসদ সংখ্যা ২২২। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-র সাংসদ সংখ্যা ৬৩। এআইএমডিএমকে-র ৩৭, তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৪, বিজেডি-র ২০, টিডিপি-র ১৬ ও টিআরএস-এর ১১ জন সাংসদ। অনাস্থা প্রস্তাবে জয় না পেলেও আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী সরকারের ব্যর্থতাগুলি সামনে এনে বার্তা দিতে মরিয়া বিরোধীরা।