নয়াদিল্লি: পাক সেনা-জঙ্গিদের হাতে জওয়ানের মুণ্ডচ্ছেদের ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়ে দিল, এবার আর তারা দীপাবলী উপলক্ষ্যে আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে পাক রেঞ্জারদের সঙ্গে মিষ্টি বিনিময় করবে না। নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাক সেনার অসংখ্যবার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের প্রেক্ষিতে তাদের এই সিদ্ধান্ত।

উরি সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে ২৯ সেপ্টেম্বরের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকে প্রতিদিন নিয়ন্ত্রণরেখার এপার লক্ষ্য করে নাগাড়ে গুলিবর্ষণ করে চলেছে পাকিস্তান। এতে ৪ জওয়ান সহ ৫ ভারতীয়র মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত ৩৪জন। শুক্রবার সন্ধেয় মাছিল সেক্টরে পাহারারত ১৭ শিখ ব্যাটেলিয়নের জওয়ান মনদীপ সিংহ পাক জঙ্গি ও সেনাদের গুলিতে শহিদ হন। তারপর পাক সেনার কভারিং ফায়ারের সাহায্যে তাঁর অঙ্গচ্ছেদ করে ওপারে পালায় জঙ্গিরা।

জানা গেছে, এই অঙ্গচ্ছেদের পিছনে সম্ভবত হাত হয়েছে জইশ ই মহম্মদ জঙ্গিদের। গোয়েন্দারা মনে করছেন, পাক সেনার সাহায্যে জৈশ জঙ্গিরা এই নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে।

সরকার সূত্রে খবর, অন্তত ২৫০-৩০০ জৈশ ও লস্কর ই তৈবা জঙ্গি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লঞ্চ প্যাডগুলিতে অপেক্ষা করছে, সুযোগ পেলেই নিয়ন্ত্রণরেখা টপকাবে তারা। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীই তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট জানাচ্ছে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১০১টি ছাউনিই টার্গেট করেছে পাক সেনা। আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারী মেশিনগান ও ৮২১ ইঞ্চি মর্টার দিয়ে হামলা চালাচ্ছে তারা, যাতে জঙ্গিরা এর ফাঁকে এ দেশে ঢুকে পড়তে পারে। সেনাপ্রধান দলবীর সিংহ এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন নর্দার্ন কম্যান্ডকে।