নয়াদিল্লি: কোনও তদন্তকারী সংস্থাই দাউদ ইব্রাহিম বা হাফিজ সইদকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিদেশ মন্ত্রককে অনুরোধ করেনি। তথ্যের অধিকার আইনে এক প্রশ্নের জবাবে এমনই জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।


১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে অন্তত ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ জখম হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দাউদ। মুম্বইয়ে এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরেই দেশ ছেড়ে পালায়। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী হলেও, প্রায় আড়াই দশক পরেও তাকে এদেশে নিয়ে এসে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়নি।

জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ লস্কর-ই-তৈবারও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পিছনে তারই পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। কিন্তু দাউদের মতোই হাফিজকেও ভারতে নিয়ে আসা যায়নি। ২০০১ সালে তৎকালীন স্বরাষ্টমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেছিলেন, দাউদ করাচিতে আছে। তিনি আরও বলেছিলেন, ২৬/১১ হামলার পিছনে যারা ছিল, তাদের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। গত মাসে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, দাউদ যে গত ১০ বছর ধরে পাকিস্তানেই আছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। এ বিষয়ে পাকিস্তানকে বেশ কয়েকটি ডসিয়ের দিয়েছে ভারত। কিন্তু দু জনই এখনও অধরা।