পানাজি: সংসদে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের মধ্যেই হেসেছিলেন। এজন্য তাঁকে রামায়ণ-এর প্রসঙ্গ টেনে নেতিবাচক কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী, যা নিয়ে শোরগোল হয় প্রবল। এবার পাল্টা মোদীকে আক্রমণ করে কংগ্রেস এমপি রেণুকা চৌধুরি বললেন, হাসির ওপর জিএসটি বসেনি, হাসার জন্য তাঁর কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
রেণুকার দাবি, তাঁর হাসির পাল্টা প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষের পর তাঁকে দেশের সব জায়গা থেকে মহিলারা বিপুল সমর্থন জানিয়ছেন। #Laugh like Surpankha, #Lol is a passe and #Laugh Like Renuka Chowdhury জাতীয় হ্যাশট্যাগ তৈরি করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন মহিলারা। রেণুকা বলেন, আমি ৫ বারের সাংসদ। আর প্রধানমন্ত্রী আমার সঙ্গে এক খলনায়িকা চরিত্রের তুলনা করেছেন। মহিলাদের প্রতি ওনার মানসিকতাই ফুটে উঠেছে। কিন্তু উনি ভুলে যাচ্ছেন, আজ মহিলারা বদলে গিয়েছেন, তাঁরা আত্মপক্ষ সমর্থনে মুখ খুলতে হয় কীভাবে, জানেন।
এখানে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে মিডিয়ার সামনে সাধারণ মানুষের সমর্থনই বরাবর জনজীবনে তাঁর ভিত্তি বলে দাবি করেন রেণুকা। বলেন, আপনি যদি ঠিক থাকেন, তার প্রকাশ হয় সব দিকে। সেটাই আজ ঘটছে। কীভাবে, কখন, তার কোনও নিয়ম নেই। আপনি হাসতেই পারেন, হাসির ওপর কোনও জিএসটি নেই। ৫ বারের সাংসদ আমি। আমার কারও অনুমতি লাগে না। আমি স্টিরিওটাইপড, বাঁধাধরা গতে ফেলে দেওয়ার মিথ ভেঙে দিয়েছি।
মজা করে রেণুকা জানান, তিনি সবসময়ই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে হেসে ফেলেন, তবে এখন তিনি এ ব্যাপারে সাবধানী হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, হাসির মাধ্যমে ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করেছি। সংসদে আইন তৈরি হয়। কিন্তু আইনপ্রণেতাদের শেখানো দরকার কেমন করে মহিলাদের সমান বলে মর্যাদা দিতে হয়, তাঁরাও নিজেদের ক্ষমতা, যোগ্যতা, অধিকার বলেই এখানে এসেছেন। আমাদের সমাজ যেমনটি, সংসদ তো তারই প্রতিফলন।
বহু বছর আগে নিজের বাবার শেষকৃত্যের সময়ও তিনি সমাজপতিদের চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বলে জানান রেণুকা। বলেন, বাবা আমাকে এই দেশের একজন নাগরিক হিসাবে, মেয়ে বা ছেলে নয়, বড় করেছিলেন।
গত সপ্তাহে রেণুকা রাজ্যসভায় মোদীর ভাষণের মধ্যেই জোরে জোরে হাসতে থাকায় তাঁকে তিরস্কার করেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নাইডুকে বলেন, তিনি যেন রেণুকাকে কিছু না বলেন, কারণ বহুদিন বাদে আটের দশকে সম্প্রচারিত টিভি সিরিয়াল রামায়ণ-এর পর এমন হাসি শোনার সৌভাগ্য হল তাঁর। রামায়ণের কথা মনে পড়ে গেল তাঁর।
কিন্তু রেণুকার দাবি, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে অ্পমান করেছেন।