চেন্নাই:  দ্রাবিড়ভূমে তুঙ্গে এআইএডিএমকে-র কাজিয়া। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্যের পরেই দলীয় পদ থেকে সরানো হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভমকে। মঙ্গলবার রাতে পনিরসেলভম মন্তব্য করেন, চাপের মুখে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এরপরই শশীকলার বাড়িতে জরুরি বৈঠকে বসে এআইএডিএমকে-র পরিষদীয় দল। তারপরই দলীয় কোষাধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পনিরসেলভমকে।


তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার একান্ত আস্থাভাজন পনিরসেলভম অবশ্য জানিয়েছেন, দল থেকে তাঁকে সরানোর ক্ষমতা কারও নেই। দলের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের জন্য ডিএমকে-র ইন্ধন রয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেন শশীকলা। শশীকলার এই অভিযোগ কার্যত ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পনিরসেলভম।

এরপরই পনিরসেলভম মন্তব্য করেন, তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ থেকে এরপর প্রতিফলিত হবে তামিলনাড়ু ও এআইএডিএমকে-র সদস্যদের আশা-আকাঙ্খা।

কোষাধ্যক্ষের পদ থেকে তাঁকে সরানো প্রসঙ্গে, পনিরসেলভমের মন্তব্য, তাঁকে এই পদে দশ বছর আগে নিয়োগ করেছিলেন আম্মা। তিনি তাঁর দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন। আজ তাঁকে এই পদ থেকে সরানোর অধিকার কারও নেই। শশীকলার তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ প্রসঙ্গে পনিরসেলভমের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে কার্যত কোনও অভিযোগ নেই। কারণ, তিনি কোনও ভুল কাজ করেননি। নিজেকে দলের একজন মাটির কাছাকাছি থাকা সাধারণ কর্মী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে এইমুহূর্তে কোনও নতুন দল গঠনের সম্ভাবনা আছে কিনা, সেপ্রসঙ্গে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অপেক্ষা করুন, সময় সবকিছুর জবাব দেবে।

এই বিতর্কের সূত্রপাত গতকাল রাতে। পনিরসেলভম দাবি করেন, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে কার্যত ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছেন শশীকলা এবং দলে থাকা তাঁর সমর্থকরা। জয়ললিতার মৃত্যুর পর তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী হতে। তারপর শশীকলার সমর্থকরা নিজেরাই পরিকল্পনা করে তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেন। যদিও পনিরসেলভম রাজ্যে জালিকাট্টু আন্দোলন, ঘূর্ণিঝড় ভরদা পরবর্তী পরিস্থিতি এবং পানীয় জল সমস্যা সাফল্যের সঙ্গেই সামলেছেন, কিন্তু হঠাত্ করেই দলের ভেতর থেকে শশীকলাকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জড়ালো হতে থাকে।