প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে গতবছর সোচ্চার হন অমর্ত্য সেন। তারপরই তিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি প্রকাশ্যে বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকারের সমালোচনায় মুখর হন। আচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বোর্ডের সদস্য হয়ে থেকেই যান এই অর্থনীতিবিদ।
সূত্রের খবর, গত ২১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-এর আইন অনুযায়ী নয়া গভর্নিং বোড গঠন করা হয়। নব গঠিত বোর্ডে অনুমোদন দিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি। নয়া বোর্ডে জায়গা হয়নি অমর্ত্য-সুগতদের।
নব নির্মিত এই বোর্ডে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, উপাচার্য, এবং বিশ্বের পাঁচটি দেশের প্রতিনিধি। বিশ্বের যে পাঁচ দেশের প্রতিনিধ গভর্নিং বোর্ডে রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে ভারত, চিন, অস্ট্রেলিয়া, লাওস এবং তাইল্যান্ডের প্রতিনিধি।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বোর্ডের সদস্য হিসেবে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন প্রাক্তন আমলা এবং বর্তমানে বিজেপি সদস্য এন.কে সিংহ। এছাড়াও যাঁরা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন হলেন বিদেশমন্ত্রক (পূর্বের) সচিব প্রীতি সরণ, বিহার সরকারের দুই প্রতিনিধি, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সহ সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিক, এবং তিনজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। যে তিন অধ্যাপকের নাম কেন্দ্রীয় সরকার মনোনীত করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক অরবিন্দ শর্মা (ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিলিজিয়াস স্টাডির অধ্যাপক), অধ্যাপক লোকেশ চন্দ্র, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস-এর অধ্যাপক এবং ডক্টর অরবিন্দ পানাগারিয়া, নীতি আয়োগের সহ সভাপতি।