হায়দরাবাদ: ৬৮দিন উপবাস করে মৃত ১৩ বছরের জৈন কিশোরী আরাধনা সামদারিয়ার মৃত্যু তদন্তে নেমে কূলকিনারা পাচ্ছে না পুলিশ। মেয়েটির দেহের কোনওরকম ময়না তদন্ত না হওয়ায় কাজ এগোতে পারছে না তারা। পুলিশ জানাচ্ছে, ৩ তারিখ মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরাধনার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে তার পরিবার। দেহের কোনওরকম ময়না তদন্ত হয়নি। ফলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বার করা পুলিশের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।


জৈন সংস্কার 'চতুর্মাস' পালন করে টানা ৬৮ দিন উপবাস করে ১৩ বছরের আরাধনা। তার মৃত্যুর ছদিন পর কয়েকটি শিশু অধিকার সংস্থা মেয়েটির উপবাসে মৃত্যুর ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ করে। এভাবে ধর্মীয় সংস্কার পালনের নামে এক কিশোরীকে আত্মহত্যায় বাধ্য করা নিয়ে দেশজুড়ে ক্ষোভ তৈরি হয়। আরাধনার বাবা মাকে গ্রেফতারেরও দাবি ওঠে। যদিও সেই দাবি এই মুহূর্তে মানতে নারাজ পুলিশ।

তাদের বক্তব্য, হাসপাতালের রেকর্ড বলছে, ৩ অক্টোবর মৃত অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মৃত্যুর কারণ দেখানো হয়েছিল, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। আর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট নানা কারণে হতে পারে। আরাধনার বাবা মা ও জৈন নেতারা বলছেন, উপবাস ভঙ্গের ২দিন পর তার মৃত্যু হয়। ফলে শুধু উপবাসের জেরেই তার মৃত্যু হয়েছে, তা মানার কোনও কারণ নেই। তবে উপবাসও মৃত্যুর অন্যতম কারণ বলে পুলিশ মনে করছে।

জৈন সম্প্রদায় অবশ্য পুরোপুরি মৃতের বাবা মায়েরই পাশে। জৈন নেতৃবৃন্দের বক্তব্য, আরাধনার বাবা মায়ের ওপর মেয়েকে খুনের দায় বর্তায় না, কারণ তাঁরা তাকে উপবাসে বাধ্য করেননি। তাকে মেরে ফেলার কোনও ইচ্ছে তাঁদের ছিল না। আরাধনার মৃত্যু দুর্ঘটনা বা ভগবানের ইচ্ছা হিসেবে দেখার অনুরোধ করেছেন তাঁরা।

মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য দেশজুড়ে জৈন সংগঠনগুলি পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদও দাঁড়িয়েছে তাদের পাশে।