লখনউ: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত যে কোনও ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের খবর অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে যাতে কোনও জমায়েত না হয়, তা নিশ্চিত করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন আদিত্যনাথ। পরিস্থিতি বিচার করে এই নির্দেশ পর্যালোচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাস লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে, এমন জল্পনার মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ সামনে এসেছে।
উত্তরপ্রদেশ সিএমও-র বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কোনও ধরনের সমাবেশ অনুমতি পাবে না বলে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি বিচার করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এবারের ইদ-উল-ফিতর পালিত হবে ২৪ বা ২৫ মে। ইদ উপলক্ষ্যে মুসলিমরা বিশেষ সামাজিক প্রার্থনায় যোগ দেন। এবার এই প্রার্থনা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ২৫ মার্চ থেকে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। ওই লকডাউনের শেষদিনে এর মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এরপর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি।
এর মধ্যেই লকডাউন আরও খানিকটা শিথিল করল কেন্দ্র সরকার। এ বার পাড়ার দোকানগুলিকে শর্তসাপেক্ষে লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। বড় বড় শপিংমল, মার্কেট কমপ্লেক্স, সিনেমা হলগুলি আগের মতোই বন্ধ থাকবে। শনিবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তবে যে সমস্ত এলাকায় করোনা সংক্রমণ সে ভাবে ছড়িয়ে পড়েনি, যে এলাকাগুলি হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত হয়নি, শুধুমাত্র সেখানেই এই নির্দেশ বলবৎ হবে।
শুক্রবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে ছোট ব্যবসায়ীদের লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
তবে ৫০ শতাংশ কর্মীকে নিয়ে কাজ চালাতে হবে ওই সব ব্যবসায়ীদের। দোকানের কর্মচারীদের সারা ক্ষণ মাস্ক-গ্লাভস পরে থাকতে হবে। বেচাকেনার সময় বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। তবে ছোট দোকানগুলিকে খোলা রাখার অনুমতি দিলেও, এক বা একাধিক ব্র্যান্ডের পণ্য রয়েছে এমন শপিংমলগুলি আগের মতোই বন্ধ রাখতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
পুরসভার অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলির জন্য যদিও নিয়ম-কানুন আলাদা। সেখানে পাড়ার দোকান, আবাসন চত্বরের মধ্যে অবস্থিত দোকান, যেগুলি শপ্‌স অ্যান্ড এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনে নথিভুক্ত, সেগুলি খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাদেরও ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়েই কাজ চালাতে হবে।
মদের দোকান, বার বন্ধই থাকবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলি শুধুমাত্র অত্যাবশ্যক সামগ্রীই সরবরাহ করতে পারবে।