নয়াদিল্লি: বিজেপি যাতে নতুন নতুন প্রকল্প, প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে গুজরাতে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার সুযোগ পেয়ে যায়, সেজন্য তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা ঝুলিয়ে রেখেছিল তারা, বিরোধী শিবিরের এই অভিযোগ খারিজ করল নির্বাচন কমিশন।

বিরোধীদের তোলা কমিশন ও শাসক দলের আঁতাতের অভিযোগ নস্যাত্ করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এ কে জ্যোতি বলেন, বোঝাপড়ার কোনও প্রশ্নই নেই। হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাতের ভোটের দিনক্ষণ স্থির করার ক্ষেত্রে একাধিক ফ্যাক্টর খতিয়ে দেখেছে কমিশন।

হিমাচলে ভোটের নির্ঘন্ট প্রথম প্রকাশ করে গুজরাত সরকারকে নতুন প্রকল্প, স্কিম ঘোষণার জন্য প্রায় এক পক্ষকাল সময় দিয়ে কমিশন কি 'খারাপ সিদ্ধান্ত' নিল, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, না, আমি তা মনে করি না।

কমিশনের গুজরাতের ভোটের সূচি ঘোষণায় দেরি করা উচিত হয়নি বলে প্রাক্তন বেশ কয়েকজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের অভিমত সম্পর্কে জ্যোতির মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি পূর্বসূরীদের বক্তব্য সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি। তাঁর মন্তব্য, আমরা পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিই। পরিস্থিতি বদলায়।

জ্যোতি এও বলেন, ২০১২ সালে দুটি রাজ্যের ভোটের সূচি একসঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছিল বটে, কিন্তু অতীতে দুটি রাজ্যেই আলাদা দিনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। পাথরে কিছু লেখা থাকে না। কিন্তু আইন আছে।

তাঁর দাবি, অন্তত তিনটি জেলায় রুক্ষ শীত, তুষারপাতে ভোটপ্রক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি হয় বলে হিমাচলের বিভিন্ন দল ও প্রশাসন কমিশনকে ১৫ নভেম্বরের আগে ভোট করতে আবেদন করেছিল। পাশাপাশি বুথে বুথে নিয়োগের জন্য কমিশনের দরকার ছিল গুজরাতের সরকারি কর্মীদের, কিন্তু তাঁরা ব্যস্ত রয়েছেন বন্যাত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে। গুজরাতের মুখ্যসচিবও দুবার ২৫ সেপ্টেম্বর ও ২ অক্টোবর কমিশনে চিঠি দিয়ে আবেদন করেছিলেন, রাজ্য প্রশাসন জুলাইয়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যবাসীর ত্রাণ ও পুনর্বাসন চালাচ্ছে, তাই যেন ভোটের দিন ঘোষণা করা না হয়।