লখনউ: রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি বিজেপি সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন বলে যে জল্পনা চলছিল, তাতে জল ঢেলে দিলেন অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ‘দলীয় সভাপতি হওয়ার দায়িত্ব আছে আমার। আমি এই দায়িত্ব পালন করতে পেরে খুশি। হৃদয় দিয়ে কাজ করছি। বিজেপি সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই। সাংবাদিকরা দয়া করে এ বিষয়ে প্রশ্ন করবেন না।’

তিনদিনের সফরে এখন লখনউয়ে আছেন বিজেপি সভাপতি। সেখানে স্বভাবতই বিহারে নয়া সরকার গঠন প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে অমিত শাহ দাবি করেছেন, নীতীশ কুমার দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে থাকতে চাননি বলেই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আরও বলেছেন, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার এবং দেশের ১৩টি রাজ্য সরকারের ভাল কাজের সুবাদে ২০১৯ সালে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ২০১৪ সালের চেয়েও বেশি আসন পাবে বিজেপি।

প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সংশয়াতীতভাবে দেশের সবচেয়ে ধর্মনিরপেক্ষ প্রধানমন্ত্রী বলেও দাবি করেছেন অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্য, মোদী সরকার দেশে পরিবার, জাত ও তোষণের রাজনীতি বন্ধ করে দিয়েছে। কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বিজেপি সভাপতি বলেছেন, মনমোহন সিংহের সরকার নীতির পঙ্গুত্বে ভুগত। মনমোহনকে কেউ প্রধানমন্ত্রী বলে মানতেন না। সব মন্ত্রীই নিজেদের প্রধানমন্ত্রী মনে করতেন। ইউপিএ সরকারের আমলে মাত্র দুটি সাফল্যের কথা বলা যেতে পারে। সেখানে তিন বছরেই বর্তমান সরকার ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে ফেলেছে। ইউপিএ সরকারের ১০ বছরে ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। কিন্তু মোদী সরকারের তিন বছরে একটিও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ফলে সারা বিশ্বকে ভারত বুঝিয়ে দিতে পেরেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

গুজরাতে দলীয় বিধায়কদের জোর করে দলে টানার যে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস, সেটা অস্বীকার করেছেন বিজেপি সভাপতি। কংগ্রেস বিধায়কদের বেঙ্গালুরুতে হোটেলের ঘরে আটকে রাখা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। উত্তর ভারতের মতো দক্ষিণ ভারতে বিজেপি শক্তিশালী নয়, এ কথাও মানতে নারাজ অমিত শাহ। তাঁর দাবি, অতীতে উত্তর ভারত সম্পর্কেও একই কথা বলা হত।