নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রে চলতি রাজনৈতিক ঘটনাক্রমে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভূমিকা নিয়ে কোনও সংশয় নেই কংগ্রেসের। মন্তব্য কংগ্রেসের। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী পাওয়ারের প্রতি তাঁর আস্থার কথা জানিয়েছেন। এদিন মহারাষ্ট্রের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে নতুন ঘটনাপ্রবাহের ক্ষেত্রে পাওয়ারের ভূমিকা রয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে সুরজেওয়ালা বলেন, পাওয়ার তাঁর অবস্থান জানিয়েছেন। এরপর আর কোনও সংশয় বা সন্দেহের অবকাশ নেই।
কংগ্রেস বিধায়কদের ভোপালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর। এ ব্যাপারে এক প্রশ্নের উত্তরে সুরজেওয়ালা বলেছেন, সমস্ত বিধায়কই দলের সঙ্গে রয়েছেন। বিজেপি তাঁদের কিনতে পারবে না।
এদিন সবাইকে তাক লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফঢ়ণবীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন অজিত পাওয়ার। এই ঘটনার পর পাওয়ার ট্যুইট করে জানান যে, অজিতের এই সিদ্ধান্তে দলের অনুমোদন নেই।
পরে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়ার বলেন, কোনও একনিষ্ঠ এনসিপি কর্মীকে বিজেপির সরকার গঠনের অংশ হতে পারেন না।
মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠনকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে সুরজেওয়ালা বলেছেন, ফঢ়ণবীশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটা কালো দাগ। তিনি বিজেপিকে গণতন্ত্রের ‘কন্ট্রাক্ট কিলার’ বলে তোপ দেগেছেন।
কংগ্রেস মুখপাত্র বলেছেন, ‘ওরা সুবিধাবাদী অজিত পাওয়ারকে ব্যবহার করেছে এবং তাঁকে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছে। এটা গণতন্ত্রের হত্যা ছাড়া অন্য কিছু নয়'। তাঁর অভিযোগ, 'সংবিধানের পাতা ছিঁড়ে ফেলে মুখ্যমন্ত্রীকে রাতে শপথ গ্রহণ করানো হয়েছে’।
এর আগে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ফঢ়ণবীশ বলেছিলেন যে, সরকার গঠনের জন্য তাঁরা এনসিপি-র সাহায্য নেবেন না। কারণ, তাঁরা এনসিপি-র দুর্নীতি উদ্ঘাটন করেছেন। এই মন্তব্য নিয়ে ফঢ়ণবীশকে একহাত নিয়ে সুরজেওয়ালার কটাক্ষ, ক্ষমতার লোভ সমস্ত দুর্নীতির দাগ ও নৈতিকতা ধুয়ে মুছে যায়।