মুম্বই: বম্বে হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেলেন নীরব মোদি। তাঁর কেনা বিরল এবং অত্যন্ত মূল্যবান ১৫টি ছবি নিলামে তোলার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নীরবের পুত্র রোহিন। বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট।


কিংবদন্তি শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনের আঁকা ‘দ্য ব্যাটল অফ গঙ্গা অ্যান্ড যমুনা’ র মতো বিরল ছবি নিলামে ওঠার কথা বৃহস্পতিবার। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক দুর্নীতিতে বিদেশে জেলবন্দি নীরব মোদির বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির অন্যতম এই ‘পেন্টিং’। হীরে ব্যবসায়ী নীরবের কাছে থাকা এই ছবির সঙ্গে আরও কিছু মূল্যবান জিনিস নিলামে তুলতে চায় সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস। এসএফআইও কর্তাদের আশা, শুধুমাত্র মকবুল ফিদা হুসেনের ছবিটি বিক্রি করেই ৫০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে।

নিলামকারী সংস্থা ‘স্যাফ্রনআর্ট’-কে ছবি-সহ সমস্ত সামগ্রী নিলামে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিলামে তোলার কথা ১৯৩৫ সালে অমৃতা শেরগিলের আঁকা ‘বয় উইথ লেমনস’, ভি এস গায়তুণ্ডের আঁকা শিরোনামহীন একটি ছবির মতো মূল্যবান সামগ্রী। সেগুলিও বিপুল দামে বিক্রি হবে বলেই মনে করছেন ‘স্যাফ্রনআর্ট’ এবং এসএফআইও-র আধিকারিকরা।

এই নিলামে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নীরব-পুত্র রোহিন। তাঁর দাবি ছিল, যে ১৫টি ছবি নিলামে তোলার কথা, সেগুলি রোহিন ট্রাস্টের মালিকানাধীন। যে ট্রাস্টের সঙ্গে নীরবের কোনও যোগাযোগ নেই। যদিও বিচারপতি বিপি ধর্মাধিকারী ও এনআর বরকরের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশের সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। আদালতে ইডি জানিয়েছে যে, ছবিগুলি যখন কেনেন নীরব, তখন রোহিন নাবালক ছিলেন। আর ছবি কেনার জন্য কালো টাকা খরচ করেছিলেন নীরব। আদালতে ইডি এ-ও জানায়, যে ট্রাস্টের কথা রোহিন বলছেন, তার ৯০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে নীরবের স্ত্রী অ্যামির। যিনি আবার আর্থিক প্রতারণার মামলায় নীরবের সঙ্গেই অভিযুক্ত।

পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক খেকে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করেই ২০১৮ সালে বিদেশে পালিয়ে যান নীরব। বর্তমানে ব্রিটেনের জেলে বন্দি তিনি। ভারত তাঁর প্রত্যর্পণের জন্য ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে দৌত্য চালিয়ে যাচ্ছে। অন্য দিকে নীরব ইংল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন।