চণ্ডীগড়: ক্ষমতায় এসেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনে উদ্যোগী হলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। শনিবার পঞ্জাব মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রী থেকে অন্যান্য মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে আমলা—কারও গাড়িতে লাল বা অন্য রঙের বাতি থাকবে না।


সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার থেকে জরুরি পরিষেবায় ব্যবহৃত গাড়ি যেমন—অ্যাম্বুলেন্স, দমকল  এবং পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ অন্যান্য বিচারপতিদের গাড়িতে লালবাতি থাকবে। জানা গিয়েছে, শীঘ্রই গাড়িতে লালবাতির ব্যবহার নিয়ে নতুন  নীতি প্রণয়ন করা হবে।


পাশাপাশি, আগামী ২ বছর সরকারি টাকায় মন্ত্রী, বিধায়ক ও রাজ্যের অন্যান্য আধিকারিকরা বিদেশযাত্রা করতে পারবেন না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। শুধুমাত্র, সফরের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বা ব্যবস্থা থাকলে, তাতে অনুমোদন দেওয়া হবে।


বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিধায়কদের বেতন, ভাতা সহ যাবতীয় আর্থিক অনুদানের যাবতীয় তথ্য রাজ্যের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে, বিধায়কদের নির্দেশ দেওয়া হবে, নিজ নিজ স্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের মধ্যে করতে হবে। পরের বছর থেকে প্রতি বছর ১ জানুয়ারির মধ্যে সেই ঘোষণা করতে হবে।


প্রসঙ্গত, মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিষয়সূচি ও সুর বাঁধা হয়েছিল নির্বাচনের আগেই। ইস্তাহারে একাধিক সংস্কার ও পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ওই ইস্তাহারের খসড়া তৈরি করেছিলেন মনপ্রীত বাদল—যিনি অমরিন্দর ক্যাবিনেটের অর্থমন্ত্রী। ইস্তাহারে মোট ১৪০টি সংস্কারমুখী ও জনমুখী পদক্ষেপের কথা বর্ণিত ছিল।


পঞ্জাব ভবনে প্রায় তিন-ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, জনমুখী ও সংস্কারমুখী সরকারের একটা ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা তুলে ধরা হয় ওই বৈঠকে। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে তার এক-তৃতীয়াংশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিনের বৈঠকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে – সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ। একইসঙ্গে, পঞ্চায়েত ও পুর-নির্বাচনে মহিলা প্রতিনিধিদের হার ৩৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।


এছাড়া, কৃষকদের নেওয়া ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ ও কীভাবে তা ধীরে ধীরে মকুব করা যায়, তার জন্য বিশেষজ্ঞ দল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে ওই কমিটি রিপোর্ট পেশ করবে। অন্যদিকে, রাজ্যে মাদক-সমস্যার সমাধানে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গঠন করা হয়েছে। বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থাকবে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অধীনে।