গ্রেটার নয়ডা: গ্রেটার নয়ডায় মা-বোনকে খুনের অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছে সে। ১৫ বছর বয়সি ওই কিশোর জানিয়েছে, ক্রিকেট ব্যাট, কাঁচি ও পিৎজা কাটার ছুরি দিয়ে মা-বোনকে খুন করেছে। প্রথমে ব্যাট দিয়ে মারার পর কাঁচি ও ছুরি দিয়ে খুন করে। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, অঞ্জলির মাথায় ৭টি আঘাতের চিহ্ন ছিল, কণিকার মাথায় ছিল ৫টি আঘাত। সেই আঘাতেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার রাতে অঞ্জলি অগ্রবাল ও তাঁর ১২ বছরের মেয়ে কণিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় গ্রেটার নয়ডার ফ্ল্যাট থেকে। কিন্তু অঞ্জলির ছেলের কোনও সন্ধান মেলেনি। শুক্রবার রাতে ওই কিশোর তার বাবাকে ফোন করে। অঞ্জলির স্বামী তাঁর ছেলেকে বাড়ি ফিরে এসে সত্যি কথা স্বীকার করতে বলেন। এই ফোনের সূত্র ধরেই বারাণসী থেকে অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করে নয়ডায় এনেছে পুলিশ।

গৌতম বুদ্ধ নগরের স্পেশাল পুলিশ সুপার লাভ কুমার বলেছেন, ‘ধৃত কিশোরের দাবি, সে পড়াশোনায় ভাল ছিল না বলে মা প্রায়ই বকাঝকা ও মারধর করতেন। ঘটনার দিনও পড়াশোনা না করায় তার মা মারেন। তিনি ছেলেকে সোফা থেকে ডাইনিং টেবলে গিয়ে পড়তে বলেন। এতেই রেগে যায় ওই কিশোর। রাত এগারোটা নাগাদ যখন মা ও বোন ঘুমোচ্ছিল, তখন ক্রিকেট ব্যাট ও কাঁচি দিয়ে মেরে তাদের খুন করে ওই কিশোর।’

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাত ১১.১৫ মিনিটে ওই কিশোরকে শেষবার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়। সে মা-বোনকে খুন করার পর রক্তমাখা জামা বদলে দু’লক্ষ টাকা ও মায়ের মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও নেয়নি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে সে ট্যাক্সিতে চড়ে নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে চলে যায়। সেখান থেকে সে ট্রেন ধরে চণ্ডীগড়ে চলে যায়। সেখান থেকে সিমলা হয়ে সে শুক্রবার মুঘলসরাই যায়। এরপর বারাণসী গিয়ে সে ধরা পড়ে। খুনের প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে। জানা গিয়েছে, মোবাইলে একটি অপরাধ সংক্রান্ত গেম খেলত ছেলেটি। বাড়ির অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসেও ওই গেমটি পাওয়া গিয়েছে।