প্রসঙ্গত, লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের মাথা সহ ১২ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এই মামলায় গত ১৮ জানুয়ারি চার্জশিট দিয়েছে এনআইএ। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালিয়ে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণার চক্রান্ত করায় সঈদ ও সালাহুদ্দিনের বিরুদ্ধে ১২৭৯৪ পৃষ্ঠার চার্জশিট পেশ করেছে তদন্ত সংস্থাটি। তারা জানায়, তদন্ত চলাকালে তাদের টিম জম্মু ও কাশ্মীর, দিল্লি, হরিয়ানার ৬০-টির বেশি স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ৯৫০-টির বেশি আপত্তিকর নথিপত্র ও ৬০০-র বেশি ইলেকট্রনিক সাজসরঞ্জাম উদ্ধার, বাজেয়াপ্ত করেছে। ৩০০-র বেশি সাক্ষীর বক্তব্য খতিয়ে দেখা হয়েছে।
এনআইএ বলেছে, নথিপত্র ও ইলেকট্রনিক সাজসরঞ্জাম বিশ্লেষণ করে বেরিয়ে এসেছে যে, অভিযুক্ত হুরিয়ত নেতা, সন্ত্রাসবাদী ও পাথরবাজরা ‘সুপরিকল্পিত’ ফৌজদারি চক্রান্তের অঙ্গ হিসাবে জম্মু ও কাশ্মীরে হিংসা ছড়িয়েছে, সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালিয়েছে। সেই চক্রান্ত রচনা করা হয়েছে পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে বসা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সক্রিয় সহায়তা, মদত ও আর্থিক সাহায্য নিয়ে। ওদের লক্ষ্য ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করা।