আলিগড়: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অমুসলিম ছাত্রদের হস্টেলেও রমজান মাস চলাকালীন প্রাতঃরাশ ও মধ্যাহ্নভোজ সরবরাহ করা হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ করেছে এবিভিপি ও বিজেওয়াইএম। তবে এএমইউ কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘চাইলে’ খাবার দেওয়া হচ্ছে অমুসলিমদের।


ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা বা বিজেওয়াইএম অভিযোগ করেছে, হিন্দু পড়ুয়াদের লাঞ্চ ও ব্রেকফাস্ট না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের জোর করে রোজা পালনে বাধ্য করছে। বিষয়টি জানাজানি হতে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রও। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ব্যাপারে মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সহ উপাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন, যে সব পড়ুয়ারা রমজান মাসে উপোস করছেন না, ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষকে জানালে তাঁদের মধ্যাহ্নভোজ দেওয়া হবে।

তবে এএমইউ-এ রমজানের সময় উপবাসের নিয়ম নতুন কিছু নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই রমজান চলাকালীন গোটা দিন হস্টেলের ডাইনিং রুম বন্ধ থাকে। পড়ুয়াদের ভোর হওয়ার আগের খাবার বা সেহরি খেতে দেওয়া হয়, আবার সন্ধেয় দেওয়া হয় ইফতার। ৫০ বছরের বেশি এই নিয়ম চলে আসছে। অমুসলিম ছাত্ররা এ সময় নিজেরাই নিজেদের খাবারের ব্যবস্থা করেন বলে জানা গিয়েছে। আগেও এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে কিন্তু লিখিতভাবে কিছু হয়নি। এবার এ নিয়ে জনাকয়েক পড়ুয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলায় শুরু হয়েছে হইচই।

অমুসলিম ছাত্রদের অভিযোগ, তাঁদের জোর করে উপবাস পালনে বাধ্য করা হচ্ছে কারণ খাবারের জন্য তাঁরা যদি হোস্টেলের বাইরেও যান, আলিগড় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় রমজানে কোনও খাবারের দোকান খোলা থাকে না। ফলে বেশিরভাগ সময় তাঁদের উপোস করেই কাটাতে হয়।