আমদাবাদ: আমদাবাদের রানিপ এলাকার নিশান হাই স্কুলের ১১৫ নম্বর বুথে ভোটের লাইনে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী! ভোটদাতাদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রযোগ করলেন নরেন্দ্র মোদী। লাইনে দাঁড়ানোর আগে বড় ভাই সোম মোদীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন তিনি।

সকালেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও তাঁর ছেলে জয় শাহ। তারপর একটি মন্দিরে যান তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর ৯৫ বছরের মা হীরাবেনও গাঁধীনগরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। আমদাবাদ থেকে ভোট দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বেলা ১২টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৩৯%।

আজ গুজরাতে দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত দফার বিধানসভা ভোট। মধ্য গুজরাতে ভোট হবে ৬১টি আসনে ও উত্তর গুজরাতে ৩২টি আসনে। ৯৩টি আসনের জন্য ২.২২ কোটি মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

২০১২-য় এই এলাকাগুলিতে ভোট পড়ে ৭২.৬৪ শতাংশ। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে সৌরাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাত ভোটে মাত্র ৬৬.৭৫ শতাংশ ভোট পড়ায় শেষ পর্যায়েও ভোটের হার কম থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোট থেকে যত বেশি সম্ভব সাফল্য নিশ্চিত করতে ঝোড়ো প্রচার চালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। মোদী অভিযোগ করেছেন, গুজরাত ভোটে কংগ্রেসের মাধ্যমে নাক গলিয়েছে পাকিস্তান, তারা সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেলকে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চায়। জবাবে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেছেন, ‘মিথ্যে’ প্রচারের জন্য মোদীকে ক্ষমা চাইতে হবে।

গতবার এই ৯৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জেতে ৫২টিতে, কংগ্রেস ৩৯টিতে। এবারও ক্ষমতাসীন দল শহরে ভাল ফল করবে বলে আশা, কংগ্রেসের তুরুপের তাস গ্রামীণ ভোট। গতবার শহরাঞ্চলের ২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ২১টিতেই। এই সব এলাকা তাদের গড়। উল্টোদিকে গ্রামীণ এলাকায় ২৮টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস, ১৩টি তফশিলি উপজাতি সংরক্ষিত কেন্দ্রের মধ্যে ১০টিই জিতেছিল তারা। বিজেপি জয় পায় ২০টিতে।