নয়াদিল্লি: রামজাস কলেজে এবিভিপি সমর্থকদের সঙ্গে আইসা সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন কার্গিল যুদ্ধে শহিদ জওয়ান মনদীপ সিংহের মেয়ে গুরমেহর কউর। তিনি অভিযোগ করেন, নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর আক্রমণ করেছেন এবিভিপি কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনা প্রত্যেকের নীতি, আদর্শ, স্বাধীনতা এবং অধিকারের উপর আক্রমণ। এই ধরনের আক্রমণ বন্ধ হওয়া দরকার। গুরমেহরের প্রোফাইল পিকচারে দেখা যাচ্ছে, তাঁর হাতে একটি কাগজে লেখা আছে, ‘আমি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। আমি এবিভিপি-কে ভয় পাই না। আমি একা নই, ভারতের সব ছাত্র-ছাত্রী আমার সঙ্গে আছে।’ গুরমেহরের এই ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।


বুধবারের ছাত্র সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। সেই ঘটনারই প্রতিবাদে এই ফেসবুক পোস্ট করেন লেডি শ্রীরাম কলেজের ছাত্রী গুরমেহর। তাঁর বাবা যখন ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে শহিদ হন, সেই সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২ বছর। জ্ঞান হওয়া থেকেই পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণা ছিল গুরমেহরের। তিনি ৬ বছর বয়সে বোরখা পরা এক মহিলাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে চেয়েছিলেন। কারণ, তাঁর মনে হয়েছিল, ওই মহিলাই তাঁর বাবার মৃত্যুর জন্য দায়ী। পরে গুরমেহরের মা তাঁকে বোঝান, পাকিস্তান নয়, যুদ্ধের জন্যই প্রাণ হারান মনদীপ।

এহেন গুরমেহরই এবিভিপি-র বিরোধিতা করায় তাঁকেও দেশ-বিরোধী তকমা দেওয়া হয়েছে। শহিদের মেয়ে অবশ্য সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন।