নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রথম মুখ খুললেন রাজীব প্রতাপ রুডি। তাঁর দাবি, তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। তারপরই তিনি বলেন, তাঁর ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দল নিয়েছে। তিনি শুধু দলের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছেন। একই কথা শোনা গিয়েছে সঞ্জীব বালিয়ানের গলাতেও। তাঁকেও বলার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি এক লাইনে তাঁর পদত্যাগের কথা লিখে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, তাঁকে কেন পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে, সেটা তিনি জানেন না। তবে দলের নির্দেশ মানতে পারার জন্যে তিনি খুশি বলে দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই অমিত শাহর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন রুডি। এরপর গতকাল সন্ধেবেলাও দুজনের মধ্যে বৈঠক হয়। তারপরই রুডি তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তবে এই পদত্যাগের পর রুডির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কি দল থেকে তাঁর জন্যে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু আশা করছেন? তাঁকে কি কর্ণাটক বা গুজরাতের আসন্ন নির্বাচনের আগে প্রচারের কাজে ব্যবহার করতে পারে দল। এপ্রসঙ্গে রুডির মত, এখনই তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেন না। এখন একটাই সত্যিই, তিনি তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, নতুন মন্ত্রিসভায় জেডিইউ থেকে দুই মন্ত্রীকে নিয়ে আসা হতে পারে। প্রসঙ্গত, যে সমস্ত রাজ্যে সামনেই নির্বাচন রয়েছে, সেখান থেকে বেশ কিছু নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দেওয়া হতে পারে। জল্পনা রয়েছে, অরুণ জেটলি হয়তো প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবেন।